দেশের সব জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহারও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
Advertisement
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না। অথচ শীত মৌসুম সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হলে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন। আদেশে দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সাতদিনের মধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও জানান, আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ও পরিবেশ সচিবকে বাংলাদেশের সব জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যকরী নির্দেশনা দিতে বলেছেন আদালত। আগামী সাতদিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধ হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
রুলে দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় কাঠ ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম