বিনোদন

‘তাকে আর বাঁচানো গেলো না’

শিল্পী আকবরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তাকে (আকবরকে) আর বাঁচানো গেলো না। তিনি আমাদের ছেড়ে চলেই গেলেন। অনেক চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’ এরপর কানিজ ফাতেমা আর কোনো কথাই বলতে পারছিলেন না।

Advertisement

উল্লেখ্য, ‘ইত্যাদির’ কণ্ঠশিল্পী আকবর আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) মারা যান (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। ২০০৩ সাল থেকেই তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। বছর পাঁচেক আগে কিডনির সমস্যা বেড়ে গেলে স্টেজ শো বাদ দিতে হয় তাকে। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে আকবরকে। পায়ে পচন ধরার কারণে অস্ত্রোপচার করে ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছিল।

অক্টোবরে ঢাকার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকবর। সেখান থেকে ১৯ অক্টোবর তাকে বাসায় নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বারডেমে ভর্তি করা হয়।

‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ গানটি গেয়ে মাত করেছিলেন রিকশা চালক আকবর। ইত্যাদির মাধ্যমে উঠে আসা এই শিল্পী রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান। সেই সময়টা বেশ ভালোই কাটছিল তার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষ সময়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন আকবর। আকবরকে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।

Advertisement

২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাগেরহাটের এক ব্যক্তি হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লিখে এই গায়কের কথা জানান। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

ওই বছর ‘ইত্যাদিতে’ কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে। পরে ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটিও এই শিল্পীকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

এমআই/এমএমএফ/জিকেএস

Advertisement