লাইফস্টাইল

বাতের ব্যথা এড়াতে যে নিয়ম মানা জরুরি

বাতের ব্যথা বা আর্থ্রিাইটিসের সমস্যায় শুধু বয়স্করাই নয়, কমবয়সীদের মধ্যেও অনেকেই এ সমস্যা ভোগেন। আর্থ্রাইটিস হলো এক বা একাধিক জয়েন্টের প্রদাহ। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, শক্ত হয়ে যাওয়ার সমসা হয়।

Advertisement

আর্থ্রাইটিস সাধারণত হাঁটু, নিতম্ব, মেরুদণ্ড ও হাতকে প্রভাবিত করে। জয়েন্ট কার্টিলেজ একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে, পরিবর্তন অপরিবর্তনীয়।

তাই অল্প বয়স থেকেই বাতের ব্যথা এড়াতে এখন থেকেই মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম। বাতের ঝুঁকি প্রতিরোধে যে নিয়মগুলো মানা জরুরি-

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন

Advertisement

অতিরিক্ত ওজনের কারণে জয়েন্টগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, ফলে সেগুলো ক্ষয় হতে পারে। শরীরের প্রতিটি অতিরিক্ত কিলো ওজন হাঁটু জয়েন্টের উপর চার থেকে ছয় কিলো অতিরিক্ত লোড রাখে।

এছাড়া অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত টিস্যু নির্দিষ্ট রাসায়নিক নিঃসৃত করে জয়েন্টের ক্ষতি করে যা তরুণাস্থি ধ্বংস করে। একটি সুস্থ শরীরের ওজনের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে থাকে।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন

ধূমপানের ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অভ্যাসের কারণে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা গুরুতর হয় ও অস্ত্রোপচারের জটিলতা বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করার মাধ্যমে আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ সম্ভব।

Advertisement

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ব্যায়াম শুধু আর্থ্রাইটিস নয় বরং সব রোগ প্রতিরোধেই সাহায্য করে। দৈনিক আধা ঘণ্টা বা সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যায়াম করা জরুরি সবার জন্যই। অল্পবয়সী ও সুস্থদের জন্য দৌড়ানো একটি ভাল ব্যায়াম। আপনার যদি আগে থেকেই হাঁটুর ব্যথা বা বাত থাকে, তাহলে দৌড়াবেন না।

স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি বজায় রাখুন

দীর্ঘ সময় ধরে বসা বা শোয়ার ভুল ভঙ্গিমার কারণেও জয়েন্টের প্রদাহ বাড়ে। এক্ষেত্রে জয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে ও দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। এ কারণে স্বাস্থ্যকর ভঙ্গিমা বজায় রাখুন। বিশেষ করে চেয়ারে বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার চেষ্টা করুন।

হাই হিল এড়িয়ে চলুন

নারীদের মধ্যে যারা নিয়মিত উঁচু হিল পরেন তাদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এজন্য হাই হিল এড়িয়ে চলাই ভালো। এক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালি, নিতম্ব ও মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলোতে আরও চাপ সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় ধরে হাই হিল পরলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য খান

স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন বজায় রাখতে খাদ্যের ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আদা, রসুন, মাছ, বাদাম, বেরি, রঙিন ফল ও শাক-সবজির রাখুন। কারণ এগুলো আর্থ্রাইটিসের বিরুদ্ধে সহায়ক ও এসবে প্রদাহরোধী প্রভাব আছে।

অতিরিক্ত লবণ, চিনি, প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত খাবারসহ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায়। এর পাশাপাশি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কারণ ডায়াবেটিস অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস