মতামত

জাপানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ও একজন আবুল বারকাত

‘জন্মেছিস যখন একটা দাগ রেখে যা’ — স্বামী বিবেকানন্দের অতি মূল্যবান এক উক্তি। স্বামী বিবেকানন্দ মানবজাতির জন্য কল্যাণকর বা হিতকর হয় এমন কোনো কাজের প্রতি ইঙ্গিত করেই হয়তো এমন উক্তি করেছিলেন। বাস্তবে ভালো কাজে দাগ রাখা সবার জন্য সম্ভব হয় না। জগৎ সংসারে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তি এই দাগ রাখার কাজটি অত্যন্ত সফলভাবে করতে পারেন তাদের অপরিমেয় মেধা, অপরিসীম ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, গভীর মনোনিবেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও বিশ্বব্যাপী মানবকল্যাণের প্রতি অপরিসীম মমত্ববোধ ও দায় থেকে। তারা ‘গ্লোরিয়াস’ (বিখ্যাত) ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হন।

Advertisement

এমনই একজন ‘গ্লোরিয়াস’ ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত যিনি সম্প্রতি জাপানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হয়েছেন। এই খবরটি দেশের সব সংবাদ মাধ্যম এ মাসের (নভেম্বর, ২০২২) ৩ ও ৪ তারিখে বেশ গুরুত্বসহ প্রকাশ করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত জাপান সরকারের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড রে উইথ নেক রিবন’ ২০২২—এ ভূষিত হয়েছেন।

বাংলাদেশের শিক্ষাজগতে জাপানবিষয়ক বহুমুখী অধ্যয়নের ভিত্তি স্থাপনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক বারকাতকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৮৭৫ সালে জাপানের সম্রাট মেইজি দ্য গ্রেট—এর রাজকীয় এক ফরমানবলে দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান খেতাব প্রবর্তন করা হয়, যা দেশটির ইতিহাসে প্রবর্তিত প্রথম কোনো খেতাব।

অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান খেতাব ২০২২ প্রদান বিষয়ে জাপান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা, বাংলা ভাষাভাষী শিক্ষার্থীদের জাপানবিষয়ক বহুমুখী অধ্যয়ন এবং এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিতে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের আগ্রহ, নিষ্ঠা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই খেতাব প্রদান করা হলো।

Advertisement

উল্লেখ্য, উদীয়মান সূর্য থেকে রশ্মি বিকিরণকারী সূর্যালোক খচিত এই খেতাব সামরিক বাহিনীর সদস্য ব্যতীত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেই কেবল প্রদান করা হয়। ৩ নভেম্বর জাপান সরকার ‘২০২২ ফল ইম্পেরিয়াল ডেকোরেশনস’ শিরোনামে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের এই খেতাব প্রদানের ঘোষণা দেয়। অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি এ বছর স্বর্ণপদকে ভূষিত হলেন।

অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে যারা জানেন তারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে তিনি কোনো কাজ হাফ-হার্টেড করেন না। যেকোনো কাজ শুরু করলে তা পরিপূর্ণভাবে ও গভীর মনোনিবেশসহকারেই শেষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও ওই কথা সমানভাবে প্রযোজ্য। এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও এটিকে বিশ্বমানে উপনীত করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত যে মেধা, পরিশ্রম, সময় ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তা এক কথায় অপরিসীম। তার এই অসামান্য অবদান বিষয়ে জানা যায় জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের লেখা ‘মানুষের জন্য যে মানুষ’ নামক একটি লেখা থেকে যেটি ২০১৭ সালে ‘গণমানুষের অর্থনীতিবিদ’ নামক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই লেখায় তিনি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের ওই বিভাগের (তখন জাপান স্টাডি সেন্টার নামে পরিচিত ছিল) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে। নানা ব্যস্ততার কারণে শুরুতে তিনি উক্ত সেন্টারের দায়িত্ব নিতে চাননি। কারণ, তিনি মনে করেছিলেন সেখানে তিনি পরিপূর্ণভাবে সময় দিতে পারবেন না।

সুতরাং তাকে দিয়ে এ সেন্টারের উন্নতি হবে না। এ বিষয়ে তিনি তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষকে অবহিতও করেছিলেন। কারণ তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে হাফ-হার্টেড কাজ করে কোন বিষয়ে সফলতা পাওয়া যায় না এবং তিনি হাফ-হার্টেড কাজ করা পছন্দও করেন না। সুতরাং তিনি বিনয়ের সাথে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি মহোদয়ের পুনঃপুনঃ অনুরোধে তিনি ওই সেন্টারের দায়িত্ব নিতে সম্মত হন।

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপান স্টাডি সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত সেন্টারের দায়িত্ব নেন ২৩ জুন, ২০১২ সালে। তার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপান স্টাডি সেন্টারের অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীর সমস্যা বা স্বল্পতা; শিক্ষা উপকরণের সমস্যা; এবং শিক্ষা সহায়ক পরিবেশের সমস্যাও ছিল প্রকট। সেই জরাজীর্ণ সেন্টারটিকে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশ্বমানের বিভাগ হিসেবে উন্নীত করেছেন। যার জন্য তিনি জাপান সরকারের সর্বোচ্চ খেতাব পেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জাপান সরকার আমাকে যে কারণে সন্মাননা দিয়েছে তা হচ্ছে জাপান নিয়ে উচ্চ শিক্ষা। অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপার্টমেন্ট অব জাপানিজ স্টাডিজ প্রতিষ্ঠার করার কারণে। এটি আমি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছি। তার আগে জাপান স্টাডিজ সেন্টার ছিল। সেন্টার থাকাকালীন তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু সেটিকে আমি একটি পূর্ণ ডিপার্টমেন্ট করা এবং সেটার জন্য আমার যা শ্রম আমি দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, এটা হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি, সে দেশের ইতিহাস, জাপানের রাজনীতি, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি, তাদের ব্যবসা, প্রযুক্তিসহ যা কিছু আছে সবই জাপানিজ স্টাডিজ এ পড়ানো হয়। জাপানিজ স্টাডিজ হলো বহু বিষয়ক। আমার মনে হয়েছিল যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি হবে কিন্তু ‘এরিয়া স্টাডিজ’ বিষয়ক কোনো বিভাগ থাকবে না তা হয় না। এরিয়া স্টাডিজ বিভাগ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলেও আমাদের এখানে নাই। সেজন্যই আমি এটি নিয়ে কাজ করেছি। পুরস্কারের আশায় কখনো করিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে জাপানের বিনিয়োগ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে এ পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন অংশীদার। জাপানের অনেক উন্নয়ন সংস্থা এখানে কাজ করে। বাংলাদেশে জাপানের প্রায় ৩০০টি কোম্পানি কাজ করে। সুতরাং জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বাড়বে এবং তাদের সাথে আমাদের অর্থনীতি-বাণিজ্য, সংস্কৃতি সব বিষয়ে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।

যার ফলে লেখাপড়ার চাহিদাও বাড়বে। সেজন্য আমি এই বিষয়টিকে টার্গেট রেখে এই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি। শুরুতে এখানে কোনো শিক্ষক ছিল না, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ছিল। এগুলো আমি ২০১৩ সাল থেকে ধীরে ধীরে করেছি এবং ২০১৭ সালে জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট করা হয়। এ বছর প্রথম চার বছর ডিগ্রি ধারীরা অনার্স পাস করে বের হবে এবং তাদের চাকরি মোটামুটি নিশ্চিতভাবে হয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।

একথা ঠিক যে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত কখনও পুরস্কারের আশায় কোনো কাজ করেন না। তিনি যা করেন তা মনে প্রাণে করেন। যে বিষয়ে হাত দেন তা পরিপূর্ণভাবে শেষ করেন। যার অসংখ্য উদাহরণ আমরা জানি। ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের যে বাড়বাড়ন্ত আমরা দেখেছি সে বিষয়ে তিনি অনেক আগেই আমাদের সচেতন করেছিলেন তার সাহসী, সুগভীর ও তথ্যভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে। যার জন্য তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। সেই মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের বাড়বাড়ন্ত আবারো আমরা দেখতে পাচ্ছি।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাজনী ইশতেহারে সুপরিকল্পিত উন্নয়নের যে রূপরেখা আমরা দেখতে পাই তার কৃতিত্বের অংশ তারই প্রাপ্য। কারণ তিনি হৃদয়ে ধারণ করে আছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারণা ওই নিবার্চনী ইশতেহারে তুলে ধরেন। যার সুফল আমরা বিগত কয়েক বছরে প্রত্যক্ষ করেছি।

পদ্মা সেতু নিয়ে তার বাস্তবধর্মী গবেষণার কথাও আমরা জানি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদশীর নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ এক দৃশ্যমান বাস্তবতা। পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি ব্যাংকটিকে সফল একটি ব্যাংক হিসেবে দাঁড় করান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তিনি তৈরি করেন বিশ্ব শান্তির খসড়া মডেল। যে মডেলটির বিশ্ব নেতারা ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশ্ব শান্তি’র মডেলটি জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশে অর্থনীতিবিদদের একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিতে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অর্থনীতি সমিতির ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। তার একক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি) আজ বিশ্বমানের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া দেশ-বিদেশের অনেক পেশাজীবী ও সামাজিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন ও আছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে তিনি অত্যন্ত সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ও দিয়েছেন। তিনি যে কাজেই হাত দিয়েছেন সেখানে সফলতা এসেছে। কারণ তিনি কাজ করেছেন অন্তর থেকে। তার সব মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়েছেন। কোনো পুরস্কারের আশায় তিনি কাজ করেননি বা করেন না।

যদিও দেশে ও বিদেশে পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি এখন অনেকটাই রাজনৈতিক হয়ে গেছে। নানা সমীকরণ মিলিয়ে বর্তমানে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সে নোবেল পুরস্কারই হোক বা অন্য কোনো পুরস্কারই হোক। আর এজন্য দেশে-বিদেশে এখন অনেককেই দেখা যায় পুরস্কারপ্রাপ্তির আশায় কাজ করতে।

একটা পুরস্কার পাওয়ার জন্য নানাভাবে তদবির করতে। নিজেকে জাহির করতে নিজের ঢোল নিজে পেটান বা নিজস্ব সার্কেল বা বলয় তৈরি করে তাদের দিয়েও ঢোল পেটানো ও তদবিরের কাজ করান। যতটুকু জানি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এসবের ধারে কাছেও যান না।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত সম্পর্কে লেখা বা বলা এই স্বল্প পরিসরে সম্ভব নয়। এখানে তার অক্লান্ত পরিশ্রম করার ক্ষমতা, মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার বিষয়টি তুলে ধরার জন্যই মূলত উপরোক্ত বিষয়গুলোর অবতারণা।

অতি উৎকৃষ্ট মানবিক গুণাবলির অধিকারী অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের রয়েছে এক অনন্য সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব প্রদানের অপরিসীম ক্ষমতা। এজন্যই তিনি যে কাজ করেন, তা মনে প্রাণে বিশ্বাস থেকেই করেন। হাফ-হার্টেড কোনো কাজ তিনি করেন না। যে কাজ করেন তা সাধারণের মনে একটি দাগ রেখে যায়। তার জন্মই হয়েছে দাগ রেখে যাওয়ার জন্য। জাপানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হওয়ায় আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এইচআর/ফারুক/এমএস