লাইফস্টাইল

নিউমোনিয়ার গুরুতর যে লক্ষণ এড়িয়ে গেলেই বিপদ!

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংমণেই এটি ঘটে। নিউমোনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কারণ হলো স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলো নিউমোনিয়ার সাধারণ ভাইরাল কারণ।

Advertisement

বিশ্বব্যাপী প্রায় প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ১৪ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক অর্থাৎ সববয়সীদের মধ্যেই নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।

প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা, হৃদপিণ্ড ও শ্বাসের হার বৃদ্ধি, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, কাশি ও কশির সঙ্গে সবুজ বা হলুদ কফ ওঠা।

শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- ডিহাইড্রেশন, শ্বাসকষ্ট, খাবারে অরুচি, কাশি, জ্বর, বিরক্তি ও কাশির পরে বমি হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement

নিউমোনিয়া হালকা হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এতে ভুগলে পরবর্তী সময়ে এটি খুব গুরুতরও হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি এটির দ্রুত চিকিৎসা না করেন।

নিউমোনিয়ার গুরুতর যে লক্ষণ দেখলে দ্রুত যাবেন হাসপাতালে-

১. জ্বর ও কাশি না সারলে২. বিশ্রামের সময়ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে৩. শ্বাসের সঙ্গে বুকে ব্যথা৪. সর্দি বা ফ্লু না সারা৫. বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া

রোগ নির্ণয় করা হয় কীভাবে?

Advertisement

শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি বুকের এক্স-রে দ্বারা নির্ণয় করা হয় নিউমোনিয়া। রক্ত পরীক্ষা, স্পুটাম পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান ও ব্রঙ্কোস্কোপির প্রয়োজনও পড়তে পারে।

যারা গুরুতর অসুস্থ বা জটিলতার ঝুঁকিতে আছেন তাদের হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের মাত্রা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়

নিউমোনিয়া ও এর জটিলতা প্রতিরোধের জন্য টিকা গ্রহণ হলো সর্বোত্তম সুরক্ষাকবচ। নিউমোকোকাল ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু ভ্যাকসিন বেশ কার্যকরী।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে ধূমপান ত্যাগ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যাদের নিউমোনিয়ার লক্ষণ আছে তাদের কাশি বা হাঁচির সময় তাদের মুখ ও নাক ঢেকে রাখা উচিত, তাদের ব্যবহৃত টিস্যুগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলঅ উচিত ও ঘন ঘন তাদের হাত ধুতে হবে।

আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবন। প্রতিবছর ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে নিউমোনিয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পালিত হয়ে আসছে এই দিবস।

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য হলো ‘নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে’।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম