বরিশালে প্রথমবারের মতো পোষা বিড়াল প্রদর্শনী হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ক্যাট শো। এতে বিড়ালদের যেমন খুশি তেমন সাজ, র্যাম্প শোসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ প্রদর্শনীতে মালিকদের সঙ্গে ৪০টি পোষা বিড়াল অংশ নেয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় অংশ ছিল বিড়ালদের যেমন খুশি তেমন সাজ। সেখানে স্টেথেস্কোপ, জামা, জুতা, চশমা, ব্যাজ পরিয়ে কোনো বিড়ালকে চিকিৎসক, মডেল আবার কোনোটিকে নায়ক-নায়িকা সাজানো হয়। তিনটি বিড়ালকে জামা ও নানা রঙের ফিতা দিয়ে সাজিয়ে নাম দেওয়া হয় শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও বুবলি। সব মিলিয়ে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন উপভোগ করেন প্রদর্শনীতে আশা দর্শনার্থীরা।
বরিশাল নগরীর বান্দরোড সংলগ্ন ইউরো কনভেনশেন সেন্টারে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এ প্রদর্শনী। এর আয়োজক ক্যাট/পার্সিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বরিশাল।
সংগঠনটির বরিশাল সমন্বয়ক আবির বিন মিজান বলেন, পোষা বিড়াল নিয়ে এ ধরনের আয়োজন বরিশালে প্রথম। তবে প্রথম হলেও ভালোই সাড়া পেয়েছি। প্রদর্শনীতে পার্সিয়ানসহ দেশীয় প্রজাতির ৪০টি বিড়াল নিয়ে তাদের মালিকরা অংশ নেন। এছাড়া বিড়াল পালনের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মোট কথা যারা বিড়াল পালেন তাদের একত্রিত করে কিছুটা সময় আনন্দে কাটানোর জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
Advertisement
প্রদর্শনীর অন্যতম আয়োজক দীপ বোস জানান, প্রদর্শনীতে বিড়ালদের নিয়ে ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেমন খাদক বিড়াল, যেমন খুশি তেমন শাজাও, র্যাম্প শো, কিউট ক্যাট, রাগী বিড়াল, সুন্দর চোখ, সেরা জুটি। পরে বিচারক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল আলম প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং জয়ী বিড়ালদের মালিকদের হতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া মনিকা নামে এক তরুণী বলেন, ‘আমরা যারা বিড়াল পুষি তারা ক্যাট/পার্সিয়ান ক্যাট সোশাইটি অব বরিশাল নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত আছি। গ্রুপটিতে সদস্য সংখ্যা অনেক। গ্রুপে যোগাযোগ থাকলেও তবে সরাসরি অনেকের সঙ্গে অনেকেরই দেখা শাক্ষাৎ হয়নি। কিন্তু এ প্রদর্শনীর কারণে একসঙ্গে মিলিত বা আনন্দ করার সুযোগ হয়েছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল আলম বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমি শাধুবাদ জানাচ্ছি। এতে প্রাণীদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়বে। কারণ প্রাণীকুল বিভিন্নভাবে আমাদের উপকারে আসে। অথচ পশুদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নির্দয়ভাবে প্রহার করা হয়। তবে এ অনুষ্ঠানে বিড়ালের প্রতি মায়া-মমতা দেখে আমি অভিভূত। আশা করছি তাদের এ উদ্যোগ অন্যদেরকেও পশু-প্রাণীদের প্রতি মায়া-মমতা বাড়াবে।
শাইফ আমীন/এসজে/এমএস
Advertisement