স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এলো হিউমালগ ২০০ কুইকপেন ইনসুলিন

বাংলাদেশে ইলাই লিলি কোম্পানির হিউমালগ ২০০ কুইকপেন (ইনসুলিন নিগ্রো ২০০ ইউনিট/মিলি) বাজারজাত শুরু হয়েছে। এটি টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকরী বলে দাবি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের।

Advertisement

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে হিউমালগ ২০০ কুইকপেন ইনসুলিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

আলোচকরা বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেই রক্তের সুগার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। সাধারণত অতিরিক্ত স্থূলতা বা ওজন শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এ অবস্থায় বেশি মাত্রার ইনসুলিন ব্যবহারকারী রোগীদের জন্য হিউমালগ ২০০ কুইকপেন একটি কার্যকরী ও স্বাচ্ছন্দ্যকর সমাধান। হিউমালগ ২০০ কুইকপেন অর্ধেক পরিমাণ আয়তনেই অন্যান্য বোলাস ইনসুলিনের সমান ইনসুলিন থাকে, যা সমানভাবে কার্যকর ও নিরাপদ। একাধিক ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে এসব চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এটি ব্যবহারের সুবিধা উল্লেখ করে জানানো হয়, হিউমালগ ২০০ ইনসুলিন কুইকপেন ডিভাইসে পাওয়া যাবে, যাতে প্রচলিত বোলাস ইনসুলিনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ (৬০০ ইউনিট) ইনসুলিন রয়েছে। ফলে একজন রোগীর মাসে কম সংখ্যক পেনের প্রয়োজন হবে। এতে রোগীদের মাসিক খরচও কমে আসবে। এই ইনসুলিন পেনের ব্যবহার ও প্রয়োগ পদ্ধতি খুবই সহজ।

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ। বাংলাদেশের অনেক ডায়াবেটিস রোগীই তাদের রক্তের সুগারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছেন না। আশাকরি এই ইনসুলিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। মানুষ এর সেবা পাবে।

ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসার খরচ বিশ্বব্যাপী যেভাবে বাড়ছে তাতে উন্নত বিশ্বের মানুষও হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। জন্মের সময় যেসব বাচ্চার ওজন আড়াই কেজির কম সেসব শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়। তাই বিয়ের আগে আমরা ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু পরীক্ষা করে নিতে পরামর্শ দেই। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ড্রাফট করা সচেতনতামূলক বার্তা সব মসজিদের ইমামকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা যেন প্রয়োজনীয় সব ওষুধ কম দামে পেতে পারেন সেই উদ্যোগও নিতে হবে।

এএএম/কেএসআর/এমএস

Advertisement