আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি হুমকি দেয় ১০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার পতন ঘটবে। আওয়ামী লীগ নাকি পালিয়ে যাবে। খালেদা হবে প্রধানমন্ত্রী, দেশে আসবে তারেক। আরে এরা তো পাগল। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো রাজনৈতিক দল না। পালানো দল হলো বিএনপি। এরা পালিয়ে পাকিস্তানে যাবে।’
Advertisement
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে। কীসের গণতন্ত্র? মানুষ মারার গণতন্ত্র, আগুন সন্ত্রাসের গণতন্ত্র।’
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি লাফাচ্ছে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো। তোমরা যদি এক থাকো, তাহলে ওরা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো লাফালেও কিছুই করতে পারবে না।’
Advertisement
আরও পড়ুন: যুবলীগের মহাসমাবেশে যোগ দিতে এসে হারুনের মৃত্যু
দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তার উপস্থিতির আনন্দে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে মহাসমাবেশস্থল। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে মঞ্চসহ মহাসমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও যুবকরা উঠে দাঁড়ান। অনেককে মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে দেখা যায়।
এশিয়ার বৃহৎ যুবসংগঠন যুবলীগের উৎসবমুখর এ আয়োজনে এরইমধ্যে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ যুবক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হয়েছেন। কেউ লাল-সবুজ, কেউ হলুদ রঙের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে এসেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: মমতাজের গানে মাতোয়ারা যুব মহাসমাবেশ
মিছিলে মিছিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সোওহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হন তারা। আনন্দঘন এ আয়োজনে আনন্দের অংশীদার হতে এরইমধ্যে যোগ দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস।
১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এ দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুবসংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারও নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
আরএসএম/এএএইচ/এমএস