৪০তম জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভা বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভাসানচরে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
সভায় জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিগণ স্বশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশ নেন। সভাপতি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় ভাসান চরের বাস্তবায়িত অনুকরণীয় উন্নয়নের প্রশংসা করা হয় যা ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও ভাসান চরের স্থায়িত্ব প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও ভাসান চরে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার প্রশংসা করা হয়।
সভায় কক্সবাজারে এবং ভাসান চরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
Advertisement
সভাপতি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
সভায় এলপিজি, খাদ্য, ওয়াশ সেক্টরসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলিকে অধিকতর ও কার্যকর ভুমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিনিধিগণ অবহিত করেন।
সভায় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
Advertisement
মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যে সকল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইন সমাজে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে বলে সভাপতি উল্লেখ করেন।
সভাপতি ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের বসবাস উপযোগী টেকসই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমইউ/এমআইএইচএস