অগ্রজদের সাফল্য অনুপ্রাণিত করে অনুজদেরও। প্রমাণ দেখা গেলো অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও। বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ক্ষেত্রে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের কোন ক্রিকেটারকে আর আদর্শ মানতে হয় না এখন বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটারদের। চোখের সামনেই তারকার ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন অনেক রথি-মহারথি। তাদের মধ্য থেকেই উঠতি ক্রিকেটাররা বেছে নেন নিজ নিজ আদর্শ।মেহেদী হাসান মিরাজের সামনেও এখন জ্বলন্ত আদর্শ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগেও বার কয়েক বলেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হতে চান তিনি। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পরও জানালেন, খেলতে চান জাতীয় দলে। হতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সে জন্য নিজেকে এখন থেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে তুলবেন মিরাজ।বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলেছেন মিরাজ। ব্যাট করেছেন ৫টিতে। এর মধ্যে ২৪২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। চারটি হাফ সেঞ্চুরি। বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। সুতরাং, টুর্নামেন্ট সেরার জন্য অন্য কাউকে বিবেচনায় আনতে হয়নি বিচারকদের। মিরাজই হলেন টুর্নামেন্ট সেরা। আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের হাত থেকে নিলেন সেরার ট্রফি। কথা ছিল টুর্নামেন্টের শিরোপাটাও তাদের হাতে তোলার; কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেই স্বপ্নের সমাধি ঘটে। তবে, সেই অপ্রাপ্তি কিছুটা হলেও ঘুছিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে। সেরা হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় শেষ করলাম। এখন আমার নিজের চিন্তা থাকবে শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলা। সবার স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। আমারও আছে। তবে জাতীয় দলে খেলার জন্য পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আমার সামনে অনেক সময় আছে। এ সময়টা আমি কাজে লাগিয়ে পরিপূর্ণ হতে চাই। আমি নিজেকে আরো পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে দেখতে চাই।’এবারের আসরে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে বাংলাদেশ। আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে এটাই সর্বোচ্চ অর্জন। দলের এই প্রাপ্তি নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘বাংলাদেশ এতোটা দূরে আগে কখনো আসেনি। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। আমাদের এই দল থেকে অনেকেই জাতীয় দলে খেলবে বলে বিশ্বাস করি। সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি।’আইএইচএস/এমএস
Advertisement