নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অন্যতম দুই অর্থদাতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
Advertisement
এছাড়া জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ একজন নারী সদস্যকে ডি-রেডিকালাইজড করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
Advertisement
তিনি বলেন, গত চার দফায় জঙ্গিবাদে জড়ানো বাড়িছাড়া তরুণ ও নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের অন্যতম দুইজন অর্থদাতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, এছাড়া জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ একজন নারী সদস্যকে ডি-রেডিকালাইজড করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
গত ৩ নভেম্বর রাতে কুমিল্লার লাকসামে অভিযান চালিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনতাছির আহম্মেদ ওরফে বাচ্চু (২৩), হিজরত করা সদস্যদের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ওরফে সুজন ওরফে ফয়েজ ওরফে সোহেল (২৪), ইসমাইল হোসেন ওরফে হানজালা ওরফে মানসুর (২২) এবং সামরিক শাখার তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি হেলাল আহমেদ জাকারিয়াকে (৩৩) গ্রেফতার করে র্যাব।
Advertisement
গত ৫ অক্টোবর ঘরছাড়া সাত তরুণকে গ্রেফতারের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন- বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী একত্র হয়ে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৭ সাল থেকে তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে এই নতুন মঞ্চে ভেড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়।
২০১৯ সালে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাম দেওয়া হয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সম্প্রতি দেশের কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করেন অর্ধশতাধিক যুবক। যাদের মোটিভেশন, প্রশিক্ষণসহ সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন থেকে আসা নেতৃস্থানীয়রা।
গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, পার্বত্য অঞ্চলকে প্রশিক্ষণ শিবির হিসেবে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাদের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখা। পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সমতল ভূমিতে এসে হামলা করে যেন নিরাপদে আবারও ক্যাম্পে ফিরে যেতে পারেন।
টিটি/বিএ/এমএস