ক্যানসার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগের সমষ্টি। এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনো চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয় না। এমনিতেই সংক্রামক রোগের তুলনায় অসংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেশি। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। দেশে ক্যানসারের রোগী ১৫ থেকে ১৮ লাখ এবং বছরে এক লাখের বেশি মানুষ এ রোগে মারা যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে ক্যানসার চিকিৎসায় বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল আছে মাত্র একটি, রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
Advertisement
তবে ক্যানসার চিকিৎসায় বিশেষায়িত এই হাসপাতালেরও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। ক্যানসার চিকিৎসায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় থেরাপি পেতে এই হাসপাতালে রোগীদের দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এরপরও এখানে সিরিয়াল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে উচ্চমূল্যে থেরাপি নেন। কারণ এই হাসপাতালের ৬টি রেডিওথেরাপি মেশিনের ৫টিই অকেজো। যার মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় চারটি মেশিন সাত মাস আগে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য একটি একবছর ধরে যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে পড়ে আছে। যে একটি মেশিন ভালো আছে তাতে দৈনিক সর্বোচ্চ ৭৫টি থেরাপি দেওয়ার জন্য নির্ধারিত হলেও দেওয়া হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০টি। ফলে প্রয়োজনীয় এই চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্যানসার রোগীদের।
আরও পড়ুন: ঘুস না দেওয়ায় রেডিওথেরাপির জন্য ৬ মাস পরের সিরিয়াল পেলেন রোগী
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রতি রেডিওথেরাপিতে খরচ হয় ২০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের থেরাপি মিলিয়ে রোগীদের এ বাবদ ১০ হাজার টাকার মতো খরচ করতে হয়। অথচ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই একই থেরাপি নিতে খরচ হয় ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের এই অধিক খরচ বহন করতে না পেরে অনেক ক্যানসার রোগী ও স্বজনরা দিনের পর দিন সরকারি এই হাসপাতালে অপেক্ষা করেন। এমনকি থেরাপির সিরিয়াল পেতে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া লাগে বলেও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে একটি মেশিনে রেডিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এখানে জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্তদের একসঙ্গে দুটি করে থেরাপি দেওয়া হয়। বিকেল ৪টায় দেখা যায় তখনও অনেক রোগী থেরাপি নিতে অপেক্ষা করছেন।
হবিগঞ্জের ৫০ বছর বয়সী হাসিনা আক্তার (ছদ্মনাম) রেডিওথেরাপি নিতে এসেছেন এই হাসপাতালে। ২০১৯ সালে তার জরায়ুর ক্যানসার ধরা পড়ে। সেসময় জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে ৮টা কেমোথেরাপি নিয়ে কিছুদিন সুস্থ ছিলেন। এরপর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য এলে গত বছরের ২ অক্টোবর চিকিৎসকরা জানান সপ্তাহে পাঁচটি করে দুইধাপে ৫০টা রেডিওথেরাপি দিতে হবে। সেখানেই বিপত্তির শুরু। প্রাথমিক অবস্থায় দুই মাস পর থেরাপি নেওয়ার তারিখ দেওয়া হলেও পরে জানানো হয় মেশিন স্বল্পতায় এখন দেওয়া যাচ্ছে না। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও সুযোগ মেলেনি। থেরাপি পেতে দেরি হওয়ায় একসময় হাসিনা আক্তারকে পরামর্শ দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার চেয়ে তিনগুণ বেশি ক্যানসারে মৃত্যু
হাসিনা আক্তারের স্বামী আইনাল (ছদ্মনাম) জাগো নিউজকে জানান, এই হাসপাতালে তারিখ না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালেও ঘুরেছি। ধানমন্ডির ল্যাবএইডে এক লাখ, উত্তরার আহছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ৬০ হাজার টাকা চেয়েছে। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা পাবো কই? সবশেষ একজনের মাধ্যমে থেরাপির তারিখ পেয়েছি। এজন্য নির্ধারিত ৫০টি থেরাপির জন্য ১০ হাজারের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, সহধর্মিণীর চিকিৎসায় ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছি। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা থাকতে হয়। ফলে দেখভাল করতে না পারায় গরু তিনটাও বিক্রি করেছি। ঢাকায় বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা খরচ, ওষুধ মিলিয়ে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
Advertisement
একই ঘটনা বরিশালের উজিরপুরের নাইমা বেগমের (ছদ্মনাম) ক্ষেত্রেও। বরিশালের এক গাইনি চিকিৎসক প্রথমে তার জরায়ু ক্যানসার শনাক্ত করেন। এরপর জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে এসে ৬টা কেমোথেরাপি নিয়েছেন। এর দুই মাস পর রেডিওথেরাপি দেওয়ার কথা থাকলেও নানা সমস্যার কথা বলে ৬ মাস ধরে ঘোরানো হয়। পরে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে রেডিওথেরাপির সিরিয়াল পান।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিষেধ রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানিকগঞ্জে একটি সম্মেলনে রয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সেমিনারে আছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: তামাক সেবন বন্ধ হলে এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার রোধ হবে
তবে রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রনদা প্রসাদ রায় জাগো নিউজকে জানান, ছয়টি মেশিনের মধ্যে গত এপ্রিলে চারটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দুটি কোবাল্ট মেশিন ছিল, যেগুলোতে থেরাপি দিতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতো। ফলে দ্রুত এনার্জি রেট কমে যেতো। বাকি তিনটি ছিল লাইনাক মেশিন। যার দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ। আরেকটি দীর্ঘদিন অকেজো পড়ে আছে। এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কবে হবে, নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
থেরাপির জন্য নতুন মেশিন কেনা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নতুন মেশিন কেনার কোনো প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাছাড়া নতুন মেশিন কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান, বাঙ্কার প্রস্তুত, ক্যালিব্রেশন, অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। তাই চাইলেও আগামী এক বছরের মধ্যে নতুন মেশিন কেনা সম্ভব নয়।
হাসপাতালটির সাবেক পরিচালক (২০০৯-১৩) ও বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সদ্যসাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকি বলেন, মেশিন মেরামত বা কেনা এককভাবে পরিচালকের ওপর নির্ভর করে না। এখানে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। মেশিন সংকটে থেরাপি পেতে রোগীদের চার-পাঁচমাস অপেক্ষা করতে হয়। এসময় শরীরে সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসায় সুষ্ঠু ব্যবস্থপনা বা পরিকল্পনা কোনোটাই নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) একটি করে থেরাপি মেশিন আছে। দেশে ১৬ লাখ ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২০-২২টি থেরাপি মেশিন রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ১০-১২টি সচল।
আরও পড়ুন: দেশে ২০ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ১৬০টি পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার সেন্টার প্রয়োজন। (অথচ আমাদের দেশে সরকারিভাবে আছে মাত্র একটি)। এসব কারণেই রোগীরা বাইরে (অন্য দেশে) যেতে বাধ্য হন। তবে ক্যানসার হাসপাতালে মেশিন মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয়টি সরকারকে আগেই জানানো উচিত ছিল। এখন এত রোগীকে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায় সেটি ভাবতে হবে। দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অভিজ্ঞ জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে হবে, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকি।
হাসপাতালের রেডিওথেরাপির টেকনিশিয়ানরা জানান, কোবাল্ট মেশিন ব্যবহারের পাঁচ বছরের মধ্যে এনার্জি রেট অর্ধেক কমে যায়। সেখানে প্রায় ২২ বছরের মতো চালানো হয়েছে। আর লাইনাক মেশিন ১০ বছর ব্যবহারের পর অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সবগুলোই জোড়াতালি দিয়ে চলছিল। এখন একদম বসে যাওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে একটিমাত্র মেশিন রয়েছে, যেখানে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৫টির বেশি রেডিওথেরাপি দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু চাপ সামলাতে ৯০ থেকে ১২০টি দেওয়া হচ্ছে। যাদের থেরাপি দেওয়া হয় তারিখ ধরে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (এক থেকে দেড় মাস) দিতে হয়। তাদের শেষ না হলে নতুন করে কাউকে থেরাপি কার্ড দেওয়া হয় না। এখন প্রতিদিন গড়ে তিনজনকে নতুন করে কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম নিজামুল হক বলেন, গত বছরও ৬টি মেশিন দিয়ে থেরাপি দিয়েছি। চলতি বছরের এপ্রিলে ৪টি অফিসিয়ালি পরিত্যক্ত ও আরেকটি নষ্ট হওয়ায় বাধ্য হয়েই এখন একটি দিয়ে থেরাপি দিতে হচ্ছে। মেশিনগুলো ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের দিকে কেনা। মেয়াদকাল থাকে ১০ বছর। অনেক আগেই সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এখন মাত্র একটি মেশিন সচল থাকায় রোগীদের চাপ বাড়ছে। আগে যেখানে দৈনিক ৬০০ রোগী থেরাপি নিতে পারতেন সেখানে এখন নিতে পারছেন ৯০ থেকে ১২০ জন। দেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে একটি করে থেরাপি মেশিন থাকা দরকার। অথচ আমাদের কাছে এখন আছেই মাত্র একটি মেশিন। এরপরও আমরা সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে মেশিন আছে সেগুলো ভ্যারিয়েন্ট কোম্পানির ছিল। তারা সেটা সিমেন্স কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সিমেন্স এখনো কার্যক্রম শুরু করেনি। এ কারণে দেরি হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে মেশিনগুলো মেরামত করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির মাধ্যমে দুটি মেশিন পাওয়ার কথা রয়েছে। এসব মেশিন চালু হলেও দেশের ৫ শতাংশ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ৫০ ধরনের ক্যানসার ধরা পড়বে এক টেস্টেই!
প্রতি বছরই নতুন মেশিনের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়। এবছরও ৬টির চাহিদা প্রস্তাবনা দিয়েছি। এখানে কেমোথেরাপির ৫০টি বেডের বিপরীতে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ রোগী বিনামূল্যে সেবা নিচ্ছেন। আমরা চাই দ্রুত রেডিওথেরাপি মেশিন আসুক, অসহায় রোগীরা সেবা পাক, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. এম নিজামুল হক।
এদিকে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালে ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ছয়টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে চলা এ হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি দুই বছরের জন্য ৫৬ জন কোরীয় কনসালট্যান্ট কাজ করবেন। যারা দেশীয় জনবল আরও দক্ষ করতে ভূমিকা রাখবেন।
এছাড়া হাসপাতালটিতে প্রথম পর্যায়ে থাকছে অটিজম সেন্টার, ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার।
দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, রোবোটিক অপারেশন, জিন থেরাপির ব্যবস্থাও রয়েছে।
এএএম/কেএসআর/জিকেএস