টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্তও ছিল তার একই ধারাবাহিকতা। শুধু তাই নয়, টানা চারটি হাফ সেঞ্চুরি করে বিরল রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। বল হাতেও ছিলেন সমান দুর্ধর্ষ। ৬ ম্যাচে ২৪২ রানের সঙ্গে মিরাজ নিয়েছেন ১২ উইকেট। যে কারণে যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে জুরিদের বিচারে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মিরাজকে মনোনিত করতে আর কাউকে বিবেচনাতেই আনতে হয়নি। টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কারটা মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে তুলে দিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।টুর্নামেন্টের ৬ ম্যাচের তিনটিতেই কিন্তু সেরার পুরস্কার উঠেছিল মিরাজের হাতে। ব্যাট করেছেন ৫ ম্যাচে। এর মধ্যে চারটিতেই হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৬০ রানের। গড় ৬০.৫০ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৩.১৬ করে। বল হাতে ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট। সেরা ২৮ রানে ৩টি। ১৭.৬৬ গড় এবং ইকনোমি রেট ছিল ৩.৭৫ করে। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে একজন খাঁটি অলরাউন্ডার ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সব মিরিয়ে যুব ওয়ানডেতে খেলেছেন ৫৬ ম্যাচ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩০৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তার। বল হাতে নিয়েছেন ৮০ উইকেট। এটা শুধু বাংলাদেশের হযেই নয়, বিশ্ব যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার রেকর্ডও বটে।বিশ্বকাপের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি বেশ উচ্ছ্বসিত। আমার লক্ষ্য অনেক বড়। আমি চাই সেরা অলরাউন্ডার হতে। আমার পরবর্তী লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ। জাতীয় দলের হয়ে ভবিষ্যতে খেলতে চাই। লক্ষ্য এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার। আশা করছি আমি তা পরবো এবং নিজের সাধ্যের সবকুটু দিয়ে চেষ্টা করব।’ আইএইচএস/এমএস
Advertisement