রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা।
ঘটনার পর আহত আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেনকে প্রথমে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আহত বেলাল হোসেন মাইনীমুখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
Advertisement
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাসান আলী বলেন, ‘আমি এবং মারধরের শিকার বেলাল হোসেন উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। এ সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। তিনি বেলালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে বেলালের ওপর চড়াও হয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। আমরা তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে তিনি এবার জুতা দিয়ে মারেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা সবাই হতবাক। এরপর আমরা বেলালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, ‘২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির আমি নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার উপজেলা আওয়ামী লীগর সভাপতি ছিলেন। তখন তিনি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তার নিজের বাড়িতে বসে করেন। সেখানে অনেক পুরোনো সদস্যকে রাখা হয়নি। মাইনীমুখের হাজাছড়া এলাকার নুরুল ইসলাম নামের এক মুরব্বিকেও সেই কমিটিতে রাখা হয়নি। কেন কমিটিতে রাখা হয়নি ওই মুরব্বি আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলছি, কমিটি বারেক সরকার তার বাড়িতে বসে করছেন। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। কেন আপনাকে রাখেনি এই প্রশ্নের জবাব বারেক সরকার দেবে। হয়তা ওই মুরব্বি এই কথাগুলো বারেক সরকারকে জানিয়েছেন। আর এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর চড়াও হয়েছেন।’
ঘটনার সময় রাঙ্গামাটি সদরে অবস্থান করছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু জাগো নিউজকে বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা বেলালের ওপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে গত ফেব্রয়ারিতে দলীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজকের ঘটনার পরে তার বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিতে আমরা জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিত জানাবো।
Advertisement
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার বলেন, ‘আমি কৃষি ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে অফিসে ফিরছিলাম। এ সময় বেলাল ও হাসান আলী আমার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তখন তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সাইফুল উদ্দীন/এসআর/এএসএম