ঝিনাইদহ শহরে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
এসময় দুটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সোমবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলে ঘণ্টাব্যাপী।
জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। ঠিক সেসময় শহরের পায়রা চত্বর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। এ সময় পৌরসভা এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তাদের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ কয়েক দফা লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। পরে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জানতে চাইলে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অতর্কিত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করেন।
Advertisement
তবে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের সহযোগিতায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। শুধু এবারই নয়, এর আগেও পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের ওপর হামলা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরআর/এএসএম