ফিচার

করের আওতায় পড়বে যেসব আয়

নভেম্বরের শুরুতেই আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর জমা দেওয়ার উৎসব শুরু হয়েছে। সাধারণত প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। ৩০ নভেম্বর দেশে আয়কর দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিনই ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতাগণ আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

Advertisement

তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে তার কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে। বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি আয় হলেই তাকে কর দিতে হয়।

এছাড়া সবশেষ স্কেল অনুযায়ী তার মূল বেতন ১৬ হাজারের বেশি হলেই সেই নাগরিককে কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, নারী এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি এবং প্রতিবন্ধী করদাতা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হতে হবে।

ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স এর ১৯৮৪ অনুযায়ী ৭ ধরনের খাত থেকে আয়, আয়করের আওতায় পড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব আয় করের আওতায় পড়বে-

Advertisement

>> বেতনাদি>> নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ>> গৃহ সম্পত্তির আয়>> কৃষি আয়>> ব্যবসা বা পেশার আয়>> মূলধনি মুনাফা>> অন্যান্য উৎস হতে আয়

অর্থাৎ চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ব্যবসা থেকে আয়, বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ, কোনো সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরের ফলে প্রাপ্ত অর্থ, জামানতের সুদ, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, ব্যাংকের সুদ, কৃষি থেকে আয়। এসব যদি আপনার আয়ের উৎস হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে কর দিতে হবে।

কেএসকে/এমএস

Advertisement