আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় হচ্ছে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত প্রতি অর্থবছরের এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২২ ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ।
Advertisement
প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হলো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি কাঠামোবদ্ধ ফরম যার মধ্যে করদাতা তার আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য লিখে আয়কর অফিসে দাখিল করেন। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ও কোম্পানি করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে।
তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে তার কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে। যে বছর আয়কর দিচ্ছেন তার আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে আয়কর দিতে হবে ২০২১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব করে।
Advertisement
নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি আয় হলেই তাকে কর দিতে হয়। এছাড়া সবশেষ স্কেল অনুযায়ী তার মূল বেতন ১৬ হাজারের বেশি হলেই সেই নাগরিককে কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, নারী এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি এবং প্রতিবন্ধী করদাতা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হতে হবে।
নির্দিষ্ট সময় যারা আয়কর জমা দেন না জরিমানাসহ পরবর্তীতে নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৩৮টি পরিষেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। যাদের টিআইএন নম্বর আছে তাদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বাৎসরিক আয় করযোগ্য না হলে কর দিতে হবে না আপনাকে। অবশ্যই আয়কর রিটার্ন ফরমের ফটোকপি, স্লিপ সংরক্ষণ করুন। এখন এটি অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়।
কেএসকে/এমএস
Advertisement