চট্টগ্রামের যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মহাসমাবেশকে ঘিরে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রেস ক্লাবের আটতলায় অনুষ্ঠান থাকলেও নিচতলায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম লিফটে উঠার পর পেছনের যুবলীগের নেতাদের লিফটে উঠা ও স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী ১১ নভেম্বর। ওইদিন চট্টগ্রামে কর্মসূচি উদযাপন উপলক্ষে আজ (বুধবার) চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের বিশাল সমর্থক নিয়ে প্রেস ক্লাবের নিচে জড়ো হন। নেতাদের সমর্থকরাও নেতার পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। প্রেস ক্লাবের সামনে কেউ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের পক্ষে, আবার কেউ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবে আসেন শেখ ফজলে নাঈম। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে লিফটে তুলে দেন। পরে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের সঙ্গে পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ভিপি মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় মহিউদ্দিনের অনুসারীরা সুজনের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে লিফটের কাছে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের বার ও লাঠি দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে সুজন ও অন্যপক্ষের লোকজন মারধরের শিকার হন।
ফজলে রাব্বি সুজন চট্টগ্রাম নগর রাজনীতিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল গ্রুপ সমর্থিত ও মহিউদ্দিন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন সমর্থিত বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে ফজলে রাব্বি সুজনের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ভিপি মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আমি প্রেস ক্লাবের উপরে প্রোগ্রামের ছিলাম। মারামারিতে আমরা কোনো কর্মী ছিলেন না।
Advertisement
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রেস ক্লাবের বাইরে ছিলাম। ভেতরে নিচতলায় কী নিয়ে মারামারি হয়েছে বুঝতে পারিনি। তবে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়
ইকবাল হোসেন/আরএডি/জেআইএম