প্রিমিয়াম বাবাদ প্রায় ৯’শ কোটি টাকা আয় করে ২০১৫ সালে জীবন বীমা খাতে ব্যবসায়িকভাবে শীর্ষের অবস্থানে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। ফলে টানা আট বছর শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখলো কোম্পানিটি।সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, কৌশলী ও বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবসায় নতুনত্ব আনায়ন, পরিচালনা পর্ষদের সহযোগিতা ও সুশিক্ষিত, দক্ষ জনবলের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের কারণে পর পর আট বছর শীর্ষে অবস্থান করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।শীর্ষ অবস্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চলতি বছরে প্রিমিয়াম আয় ১ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আরো ২টি নতুন পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কোম্পানিটি। ফলে সব মিলে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের বিমা পণের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯টিতে।কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি মোট ৩১টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে শীর্ষে থাকা ফারইস্টের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল ৭৬৮ কোটি ৫৫ লাখ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ হিসেবে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির নতুন প্রিমিয়াম বাবাদ আয় বেড়েছে ৭২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এছাড়াও ২০১৫ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাবদ আয় হয় ৫৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা ২০১৪ তে ছিল ৫৮৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। সব মিলে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাবদ আয় হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।২৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করে বিমা খাতের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স। যা আগের বছরের চেয়ে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। ১৯৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যা আগের বছরের চেয়ে ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি। অপরদিকে ১৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা আয় করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যা আগের বছরে ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। এছাড়া ৬৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যা আগের বছরের চেয়ে ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেশি।ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হেমায়েত উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সহযোগিতা ও সুশিক্ষিত, দক্ষ জনবলের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের কারণে পর পর আট বছর শীর্ষে অবস্থান করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ ভালো তাদের ব্যবস্থাপনাও ভালো হয়। ব্যবস্থাপনা ভালো হলে একটি পরিপূর্ণ স্বংসম্পূর্ণ সংগঠন তৈরি করা যায়। আর সেই সংগঠন দিয়ে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়। আমাদের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।ব্যবসায় সাফল্য অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায় সাফল্য আনতে হলে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচলকদের ব্যবসা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই প্রতিষ্ঠানের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে পৌঁছানো সম্ভব হবে।এসআই/বিএ
Advertisement