ক্রমাগত ঋণের সুদ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনিকলে খরচ ও লোকসান বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
Advertisement
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পমন্ত্রী জানান, সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় ব্যাংক হতে উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে চিনিকলগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এতে করে ক্রমাগত ঋণের সুদ বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ ও লোকসান বেড়েছে।
এছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ না পাওয়ায় চিনিকলগুলোর লোকসান বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সরকার থেকে আখ ও চিনির মূল্য নির্ধারণ করায় অনেক সময় বাজারের চাহিদা ও ভোক্তাদের বিষয় বিবেচনা করে চিনির মূল্য কমানোর প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু আখের মূল্য স্থির থাকে। এতে লোকসান হচ্ছে বেশি। এরমধ্যে আবার ফসলের বহুমুখীকরণে আখ চাষ কমে যাচ্ছে।
Advertisement
উন্নত জাতের আখের জাত উদ্ভাবন না হওয়া, দক্ষ জনবলের অভাব এবং শ্রমনির্ভর কারখানা হওয়ায় চিনি উৎপাদন কমেছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে ইউরিয়া সারের মজুত (২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত) ৭ দশমিক ৩৩ লাখ টন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ২৫ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন সারের মজুত প্রয়োজন হবে।
এইচএস/জেডএইচ/এমএস
Advertisement