প্রতি বছর দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত হাজার মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ পিতল পাচার হচ্ছে ও পাচার রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৩১ অক্টোবর) হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই রিট করেন।
রিটে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সম্বনয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
এর আগে গত ১৯ জুন পিতল পাচার হচ্ছে ও পাচার রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী।
ওইদিন তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙার শিল্প। বিদেশ থেকে জাহাজ এনে ব্যবসায়ীরা সেটি ভেঙে লোহা, ইস্পাত, পিতল আলাদা করে বিক্রি করেন। এসব কাজে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। কিন্তু জাহাজ থেকে যে পিতল সংগ্রহ করা হয় দেশের বাজারে এর দাম তুলনামূলক কম। এজন্য এসব পিতল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশেও বিভিন্ন কাজে প্রচুর পিতল ব্যবহার করা হয়। সেই পিতল আবার বিদেশ থেকে কিনতে হয়। এছাড়া পিতল শোধন করার আগে পাচার হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলেও বেশি দামে কিনতে হয়। তাই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে এসব রোধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হয়েছে।
Advertisement
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি প্রতিকার চাইতে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।
তবে লিগ্যাল নোটিশের পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই এই রিট করা হয় বলে জানান তিনি।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম