তথ্যপ্রযুক্তি

বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি পুরস্কার পেলো জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো দেওয়া হলো বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি পুরস্কার। এ পুরস্কার পেলো বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২।

Advertisement

সোমবার (৩১ অক্টোবর ২০২২) রাতে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো মতিয়ার রহমান ও ‌জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার জনসংখ্যা গণনা হয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৮১ সালে হয় দ্বিতীয়বার জনসংখ্যা গণনা। এরপর ১০ বছর পরপর ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে জনসংখ্যা গোনা হয়। এসব শুমারির ফল পেতে লেগেছে ছয় থেকে সাত মাস। সবচেয়ে কম চার মাস সময় লেগেছিল ২০১১ সালে। তবে এবার সব চিত্র বদলে গেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মাত্র ২৯ দিনেই মিলেছে জনসংখ্যার হিসাব। একে ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম সুফল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

ডিজিটাল জনশুমারি হয় দেশজুড়ে তবে দেশে এটাই প্রথম। শুমারির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ও জিও কোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত ও শুমারিতে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কর্মী নির্ধারিত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ডিজিটাল এ শুমারি বাস্তবায়নে ব্যবহার হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব।

মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবসমূহ মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট ফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়া সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কালিয়াকৈরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের টায়ার-আইভি (iV) সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা-সেন্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য ও সেবা প্রকল্পসমূহকে স্বীকৃতি দিতে এবারের আসরে মোট ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ১০৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত সেরা প্রকল্পসমূহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে আমরা সারাদেশের উদ্ভাবনী ও সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবাগুলোকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই করি এবং তাদের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসব পণ্য ও সেবা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা প্রকাশ করে। এবারের আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কার্যকরী প্রকল্পগুলোকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। পুরস্কৃত সেরা প্রকল্পগুলো বরাবরের মতো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

Advertisement

বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এম রাশিদুল হাসান। এছাড়া প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন বেসিস প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি ও সহ-আহবায়ক হিসেবে ছিলেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির সদস্য লিয়াকত হোসেন।

এমওএস/এমআইএইচএস