দেশজুড়ে

‘প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখায়’ রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহকে হত্যা

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে ক্যাম্পে ক্যাম্পে দাবি বাড়ানোয় কাল হয়েছে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহর। একটি গ্রুপ প্রত্যাবাসন বিরোধী ছিল, তারাই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে।

Advertisement

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এভাবেই দাবি মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ। তিনি সাক্ষ্য দেন।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

তিনি বলেন, বাদী ও নিহতের ভাইয়ের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) একই আদালতে আরও তিনজন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আনা হবে।

Advertisement

এর আগে ১১ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন মামলায় সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) পরবর্তী দিন ধার্য ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়। তাদের উপস্থিতিতে নেওয়া হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার বাদী জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যুচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীদের এক গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া ক্যাম্পের মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এতে সাতজনের নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন জানানো হয়। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম-ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় আছে।

আদালত শুনানি ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। ওইদিন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য ছিল।

Advertisement

বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/জেআইএম