ভারতের গুজরাটে মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক। তাছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে গুজরাটের মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক ওই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর রাতেই ৯১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কারের পর দিনকয়েক আগেই চালু করা হয়েছিল গুজরাটের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতুটি। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝুলন্ত সেতুটিতে দুর্ঘটনার সময় পাঁচ শতাধিক লোক ছিল। দেশটির পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
Advertisement
দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে তৎপরতা চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিষ ভাটিয়া বলেছেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে গুজরাট সফর করছেন। এরমধ্যেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
সেতুটি মেরামতের পর চার দিন আগে গত ২৬ অক্টোবর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি বা এর ফিটনেস সনদ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় মিনিউসিপ্যাল প্রধান এনডিটিভিকে এ কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
অরেভা নামের একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে সেতুটি মেরামতের কাজ পায়। সেতুটি মেরামত শুরুর পর থেকে সাত মাস বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এমএসএম