শত ক্রিকেটারের আদর্শ তিনি, হাজার তরুণের স্বপ্ন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম কিনা ক্রিকেট ছাড়ার পর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। কোকেন ছাড়া তার চলতোই না!
Advertisement
আত্মজীবনীতে নিজেই এই ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করতে চলেছেন ওয়াসিম আকরাম। ‘সুলতান: অ্যা মেমোইর’ নামে নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করতে যাচ্ছেন সুলতান অব সুইং-খ্যাত এই পেস বোলার।
তবে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কোকেন ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ১৯৯২ বিশ্বকাপ বিজয়ী এই পেসার অবসরে যান ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট উইকেট নিয়েছেন ৯১৬টি। তাবে মনে করা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার। ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং এবং ধারাভাষ্যকার হিসেবে পেশা শুরু করেন ওয়াসিম। এ সময় তিনি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি পান। তখনই এ কাজ করতে গিয়ে তিনি কোকেনে আসক্ত হয়ে ওঠেন।
Advertisement
দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫৬ বছর বয়সী ওয়াসিম ফাঁস করেছেন যে তিনি তার নতুন আত্মজীবনী ‘সুলতান: অ্যা মেমোইর’এ কোকেনে আসক্ত হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
সাবেক বাঁ-হাতি পেসার তার প্রথম স্ত্রী হুমার নিঃস্বার্থ কাজের কথাও উল্লেখ করেছেন আত্মজীবনীতে। যিনি ২০০৯ সালে বিরল ছত্রাকের সংক্রমণে হঠাৎ মারা যান। ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমার শেষ দিনগুলোতেও হুমা নিঃস্বার্থভাবে আমার পাশে ছিলেন এবং চেয়েছিলেন যেন আমি আমার মাদকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাই। জীবনের সেই পথ শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং আমি আর পিছনে ফিরে তাকাইনি।’
১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর, ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তানের হয়ে ১০৪টি টেস্ট এবং ৩৫৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গেও ছিলেন ওয়াসিম। এছাড়াও ১৯৯৩ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ২৫টি টেস্ট এবং ১০৯টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন।
ওয়াসিম আকরামের মতে, তিনি যখন ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী হুমা এবং তার দুই ছেলের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি কোকেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। আকরাম প্রকাশ করেন, ‘এটি ধীরে ধীরে শুরু হয়েছিল, যখন আমাকে ইংল্যান্ডের একটি পার্টিতে এর প্রস্তাব দেওয়া হয়; এরপর একে আমি আরও বেশি করে ব্যবহার করতে থাকি। এমন পরিমাণে যে আমি অনুভব করেছি এটি কাজ করেছে। এটি করা আমার দরকার। অর্থ্যাৎ, নেশায় পরিণত হয়েছিল।’
Advertisement
ওয়াসিম আরও যোগ করেন, ‘হুমা, আমি জানতাম, সে সে সময়ে প্রায়ই একা থাকতো। সে করাচিতে যেতে চেয়েছিল তার বাবা-মা এবং ভাইবোনদের কাছে, কিন্তু আমি তা করতে চাইনি। আমিও করাচি যেতে চেয়েছিলাম; কিন্তু আমি ভান করতাম যে আমি কাজের কারণে সেখানে যেতে পারছি না, অথচ আসল কারণ ছিল ইংল্যান্ডে পার্টি করা।’
আইএইচএস/