রাজনীতি

পৈতৃক সম্পত্তি বেচে রাজনীতি করি: ফখরুল

বিএনপি নেতাদের টাকার উৎস নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বেচে রাজনীতি করি। নেতাকর্মীদের নিজেদের দেওয়া চাঁদার টাকায় সমাবেশ করা হচ্ছে। কিন্তু আপনারা (আওয়ামী লীগ) কী করেন, তা সবাই জানে।’

রোববার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথসভায় অংশ নেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আমি নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই, টাকার ওপর ঘুমাই। বেশি ঘাটবেন না, বেশি ঘাটলে কেঁচো বেরিয়ে আসবে।’

Advertisement

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট.. ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। সামাল দিতে পারবেন না। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, সবাই জানে। এত টাকা কোথা থেকে আসে? আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’

সংবাদ সম্মেলনের বক্তৃতা করেন মির্জা ফখরুল

১৫ বছরের শাসনামলে দেশে অর্থনীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভাগাড়ে নিয়ে পরিণত করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। এটা আমার কথা নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রীর কথা।’

ফখরুল আরও বলেন, রাজনীতির অধিকারের কোনো স্পেস নেই। সব নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। এটাকে বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ। এখন তারা বলে বেড়ান, এটা তারা বাতিল করেননি, আদালত করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ জনগণকে বোকা বানাতে চায়। উন্নয়নের গল্প শোনায়। এত উন্নয়ন করেছেন, তাহলে ভয় পান কেন? কারণ আপনারা ভালো করেই জানেন যে দুর্নীতি করেছেন, তাতে ভোটের মাধ্যমে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।’

এসময় গায়েবি মামলায় আওয়ামী লীগের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা সরাফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সুলতানা রহমান, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্না প্রমুখ।

কেএইচ/এএএইচ/জেআইএম