আইন-আদালত

সিনহাকে নিয়ে মামলা: নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ১৭ নভেম্বর

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে ঘুস দাবির মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

রোববার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন নাজমুল হুদা চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া মামলাটি চলার বৈধতা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি থাকায় নাজমুল হুদার আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

Advertisement

তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক। ফলে মিথ্যা অভিযোগ করায় ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটার প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।

২০২২ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Advertisement

জেএ/কেএসআর/এমএস