দেশের বাজারে ২৫ বছরের যাত্রা সম্পন্ন করেছে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। ছোট একটি জুতার দোকান থেকে এরই মধ্যে ফ্যাশন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে এপেক্স। প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ যাত্রা ও চামড়া খাতের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জাগো নিউজকে অভিমত জানিয়েছেন এপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সাইফুল হক মিঠু।
Advertisement
জাগো নিউজ: বাংলাদেশের বাজারে ২৫ বছর পার করায় এপেক্সকে অভিনন্দন। সফলতার সঙ্গে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলেন। সাফল্যের মূলমন্ত্র কী?
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: প্রথমেই গ্রাহকদের ধন্যবাদ দেবো। বাংলাদেশের জনসাধারণ আমাদের যে ভালোবাসা দিয়েছে, তাদের এপেক্সের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটার কয়েকটা ভিত্তি আছে। ২৫ বছর অনেক বড় মাইলফলক।
প্রথমত, পণ্যের গুণগত মান আমাদের কাছে একটা গন্তব্য। মান ও দামের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করি। আমরা যদি জাপানের উদাহরণ দেই- সেখানে কোনো নিম্নমানের পণ্যের জায়গা নেই। এপেক্স মানেই কোয়ালিটি, এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কিছুটা সফলতা পেয়েছি। আরও কাজ বাকি।
Advertisement
দ্বিতীয়ত, মানুষকে সেবা দেওয়া। আমরা অনেকেই মনে করি রিটেইল ব্যবসা হচ্ছে শুধু মাল কেনা, মাল বিক্রি করা। সেটা কিন্তু এখন আর নেই। আজ বাংলাদেশে যারা ক্রেতা, তারা একটা কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স চায়। একটা পণ্য অনলাইন, ফুটপাত ও দোকান থেকে কেনা যায়। এখানে পার্থক্য গড়ে দেয় সেবা। আমাদের দোকানে ঢুকলে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, সমস্যা হলে সমাধান করছি। রিটেইল যে একটা শিল্প- এটা কিছুটা হলেও এপেক্স প্রতিষ্ঠিত করেতে পেরেছে। আগে ছিল দোকানদারি, এখন হয়ে যাচ্ছে রিটেইল। অর্গানাইজড এই রিটেইল দোকানদারি হতে পারে, ফুটওয়্যার হতে পারে। ইলেকট্রনিক্স খাতে বিশাল একটা বিপ্লব এসেছে। এটা আরও বড় হবে। আমেরিকান ইকোনমিতে রিটেইলের অবদান প্রায় ৭০ শতাংশ। ভারতেও কৃষির পর সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করে রিটেইল। আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাভাবিকভাবে হয়তো আর মাঠে কাজ করতে চাইবে না। হয়তোবা জুতার কারখানায় কাজ করতে চাইবে না। তারা ভালো কাজের পরিবেশ চাইবে। সেটা রিটেইল দিতে পারে। এখানে বিরাট সম্ভাবনা আছে।
জাগো নিউজ: কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন?
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: চ্যালেঞ্জ, বাধা এটা থাকবেই। আমরা সবসময় বলে এসেছি বাধা থাকলে সেখানে সুযোগ বেশি থাকে। প্রথম বাধাটা ছিল, রিটেইল যে একটা শিল্প এটা প্রতিষ্ঠিত ছিল না। এজন্য যে মানবসম্পদ দরকার, যে ধরনের দক্ষতা দরকার- যেমন ভিজ্যুয়াল মার্চেন্ডাইজিং, ইনভেন্ট্রি প্লানিং। এই ধরনের লোকবল আমরা তৈরি করছি না। আমরা এখনো গতানুগতিক কিছু এমবিএ করছি। কিন্তু রিটেইল ম্যানেজমেন্ট একটা বড় জায়গা। সেটা নিয়ে কাজ করছি না। সেখানে মানবসম্পদ একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় বাধা হচ্ছে খরচ। বাংলাদেশের বাজার জয় করতে হলে সব জায়গায় পণ্য দিতে হবে। বিগত এক বছরে প্রত্যেকটা কাঁচামালের দাম বেড়েছে। পণ্য জাহাজীকরণের খরচ ৪-৭ গুণ বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কীভাবে একটা ভালো মানের পণ্য আনতে পারি এটাও আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ খুব ছোট একটি দেশ। কিন্তু আমি মাঝে মধ্যে অবাক হয়ে যাই যে, একটা দোকানের ভাড়া এত কেন! দোকানভাড়া অস্বাভাবিক বেড়েছে। এর কারণ প্রতিযোগিতার বাজার। আগে হয়তো দু-তিনটা ব্র্যান্ড ছিল। এখন ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, টেলকো- অনেক রকম রিটেইলের ব্যবসা শুরু হয়েছে। সেজন্য একই জায়গার জন্য অনেক আগ্রহ। এ কারণে দাম (দোকান ভাড়া) বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেমিক্যালের দাম বাড়ায় চামড়ার ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন
Advertisement
ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে যে ভাড়া তা দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত সব আইন মেনে, ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে মানসম্মত পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কিছু নীতি বদলানো দরকার। রিটেইলকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। যারা এখাতে কাজ করে তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার। দেশে যেন আরও পণ্য তৈরি করেতে পারি সেইভাবে রাজস্ব বোর্ড থেকে কিছু সুবিধা দেওয়া দরকার। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’- এটাকে ফোকাস করা দরকার। বাংলাদেশে যদি জুতা আমদানি করি এটার ওপর প্রায় ১৭০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আছে। তার মানে জিনিসটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ১৭০ শতাংশ শুল্ক হলে কোনো সৎ ব্যবসায়ী এটা (আমদানি) করতে চাইবেন না। অথবা দাম এত বেশি হবে, যেটা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। জুতার সরঞ্জাম আমদানি করতে হলে সেখানেও অনেক ডিউটি (শুল্ক) দিতে হয়। অনেক বছর ধরে রাজস্ব বোর্ডকে আমরা আহ্বান করছি জুতার কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিতে। এটা হলে অনেক ছোট কারখানা আছে যারা স্থানীয় বাজারে জুতা বিক্রি করে, তাদের খরচ কমে যাবে। চীন থেকে কম দামের যেসব পণ্য আসছে, তাদের সঙ্গে (প্রতিযোগিতা করে) ছোট কারখানাগুলো টিকে থাকতে পারবে না। এই জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে। একটা দেশে নির্বাচন হয় চার-পাঁচ বছর পর পর। কিন্তু আমরা যারা রিটেইলে কাজ করি, আমাদের কিন্তু প্রতিদিন কয়েক হাজার নির্বাচন হয়। ক্রেতারা মানিব্যাগ খুলে সিদ্ধান্ত নেন তারা টাকাটা আমাদের দেবেন কি না। আমাদের সেবার মনোভাব বজায় থাকলে আরও ২৫ বছর আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারবো।
আরও পড়ুন: ট্যানারির ‘অসম্পূর্ণ স্থানান্তরই’ চামড়া শিল্প ধসের কারণ
জাগো নিউজ: আগামীতে রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ বা সুযোগ আসছে? সামনে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। সব মিলিয়ে কী ভাবছেন?
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: রপ্তানিতে অনেক বড় একটা সুযোগ এসেছে। বিশেষ করে করোনাকালে। চীন থেকে তৈরি পোশাক, জুতা- এই ধরনের শ্রমঘন শিল্প বেরিয়ে যাচ্ছে। খরচের বিষয় ভিন্ন, সেখানকার (চীনের) তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের কাজ আর করতে চায় না। করোনায় যখন চীনে জিরো কোভিড পলিসি ছিল, ভিয়েতনামে যখন লকডাউন হলো- তখন বড় বড় ব্র্যান্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। তারা ভাবলো যেই দেশ থেকে যদি পুরোপুরি সোর্সিং হয়, তারা যদি হঠাৎ করে তিন সপ্তাহ বন্ধ হয়ে যায়- তাহলে কী হবে। সেখানে একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া এই সুযোগটা পাচ্ছে। সেখানে আমরা সেই সুযোগ নিতে কতটা তৈরি। এখানে খরচ অনেক বড় ফ্যাক্টর। আন্তর্জাতিক বাজারে আপনাকে সবার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। সেখানে যদি পণ্যের খরচ, দাম অন্যের তুলনায় বেশি হয় তাহলে বিদেশি ক্রেতারা আপনার কাছ থেকে কিনবে না। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস (ব্যবসার ব্যয়) কীভাবে কমাতে পারি সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। সম্প্রতি আমরা দেখলাম আমাদের পণ্য জাহাজীকরণ খরচ বেড়ে গেছে, বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে। বাড়তে পারে- তার যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু দাম কমানোর মনোভাবটা বাংলাদেশে দেখি না। এরই মধ্যে জাহাজীকরণের খরচ কমতে শুরু করেছে। তাহলে রপ্তানিতে প্রভাব পড়ছে না কেন? আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাচ্ছে। আমরা এখানে কমাতে পারছি না কেন? আমরা যদি সার্বিকভাবে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমাতে পারি, তাহলে প্রতিযোগিতা করতে পারবো। বাজারে অবস্থান তৈরি করতে পারবো।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ) একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখন একটা কোটা বা ডিউটি ফ্রি (শুল্কমুক্ত) সুবিধা পাচ্ছি। তবে এখানে আমি খুবই আশাবাদী। কারণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা- আমরা খুব অবহেলিত। আমাদের অনেক কিছু বলা হয়, কিছু হয়তোবা ভালোর কারণে, কিছু হয়তোবা আনকাইন্ডলি বলা হয়। আমরা সবসময় একটা সমাধান খোঁজার চেষ্টা করি। গ্রাজুয়েশনে যে সুযোগটা হারাবো, সেটা ফিরে পেতে হলে অন্যভাবে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। উৎপাদনশীলতা, মান বাড়াতে হবে। নতুন নতুন বাজারে যেতে হবে। এগুলো আমাদের রপ্তানিকারকরা করছেন। সম্প্রতি জাপানে প্রথমবারের মতো আমরা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছি। আমেরিকায় এগোচ্ছি। যেখানে আমরা বাজার হারাবো, সেখান থেকে সরে হয়তোবা চীন, জাপান, ভারত বা আফ্রিকা- এসব বাজারে যেতে হবে। আমাদের কাজ করার একটা জায়গা আছে। সরকার এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তা করছে। এখনো পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আসেনি, কিন্তু নানান প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কীভাবে আমরা টিকে থাকতে পারবো তা নিয়ে সরকারের সর্বস্তরে কথা হচ্ছে। সবাই মিলে এই বাধাটাও অতিক্রম করতে পারবো।
আরও পড়ুন: সঙ্কটে চামড়া শিল্প
জাগো নিউজ: চীন আমাদের এখান থেকে কাঁচা চামড়া নিতো। মূল্য সংযোজনের সুযোগ এখানে কতটা? কেননা ট্যানারির মান নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: চীন এখন অনেক বড় একটা বাজার। চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করার জন্য তারা নতুন নতুন দেশ খুঁজছে। চীনের ক্রেতারা হয়তো সস্তাটা খুঁজছে না, তারা ব্র্যান্ড খুঁজছে। তারা ইতালি কিংবা ফ্রান্স থেকে আমদানি করছে। বাংলাদেশ সেই ব্র্যান্ডিংয়ের জায়গায় পৌঁছায়নি। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজটা যদি বাড়াতে পারি- তাহলে তারা (চীন) বাংলাদেশ থেকে কেন কিনবে না? বাংলাদেশের চামড়াশিল্পে প্রধান সমস্যা- সাভারকে যদি আমরা পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ায় না আনতে পারি, তাহলে ভালো ব্র্যান্ডের কাছে চামড়া বিক্রি করতে পারবো না। তখন মধ্যস্বত্ব ব্যবসায়ীরা কম দামে নিয়ে তারা ব্যবসা করবে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনুরোধ জানাই, সাভারে ট্যানারিতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) দায়িত্ব তাদের দিতে হবে- যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পলিউশন ট্রিটমেন্টে কাজ করেন। বাংলাদেশে এমন অনেকেই কাজ করছেন। তারা হয়তো মিউনিসিপ্যাল ট্রিটমেন্টে কাজ করেছেন, এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের সিইটিপির দায়িত্ব দিতে হবে। এভাবে না দিয়ে আমরা যদি মনে করি এটা (সিইটিপি) বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করতে পারবে, তবে আমি মনে করি বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সামনে খুব একটা ভালো ভবিষ্যৎ নেই।
জাগো নিউজ: ক্রেতাদের সামনে কমপ্লায়েন্স নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় কি?
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: খুব নামকরা আমেরিকান একটা ব্র্যান্ড তারা বলেই দিয়েছে যে, তোমরা যদি সিইটিপি ঠিকও করো- আমরা কিন্তু সাভার থেকে চামড়া কিনতে পারবো না। সাভারের নাম (অব্যবস্থাপনা) হাজারীবাগের কাছাকাছি চলে গেছে। হাজারীবাগ থেকে আমাদের কারখানা সরানোর দরকার ছিল, কিন্তু যেভাবে সরানো হয়েছে সেটা হয়তোবা সুচিন্তিতভাবে হয়নি। তারপরও আমরা (সাভারে) গিয়েছি। এখন যদি আমরা তুরাগ নদীর একই অবস্থা করি যেটা বুড়িগঙ্গাকে করেছি, তাহলে যে কারণে আমরা স্থানান্তর করলাম সেটা তো হলো না। এরই মধ্যে এসব বাধা আমরা দেখছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি হবে। এখনও সময় আছে। এখন সবাই বলছে না, কিছু কিছু ক্রেতা বলছে আমরা সাভার থেকে চামড়া কিনবো না। এ অবস্থায় একমাত্র উপায় হচ্ছে সাভারের সিইটিপিকে চালু করতে হবে। চালুর পর আন্তর্জাতিক একটা সংস্থা আছে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি), তাদের দিয়ে সার্টিফাই করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৬ বছরে এপেক্স, ক্রেতাদের দিচ্ছে আকর্ষণীয় ছাড়
জাগো নিউজ: ফুটওয়্যার আইটেমের বাজারের আকার কেমন? সেখানে বাংলাদেশের অবদান কতটুকু?
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: বৈশ্বিক মার্কেট সাইজ (বাজারের আকার) এই মুহূর্তে ৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু জুতারই প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মার্কেট আছে। এই জুতার মধ্যে চামড়া ও সিনথেটিক দুটোই আছে। সেখানে আমরা মাত্র এক বিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছি শুধু জুতা থেকে। ৩৩০ বিলিয়নের মধ্যে এক বিলিয়ন খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু আমরা স্বপ্ন দেখি, পরিবেশবান্ধব ট্যানারি হলে- যেখানে এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট আছে, দেশের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে এটাকে এক বিলিয়ন থেকে তিন বিলিয়ন, তিন বিলিয়ন থেকে পাঁচ বিলিয়নে নেওয়া মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা সম্ভব।
জাগো নিউজ: আপনাকে ধন্যবাদ।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর: আপনাকেও ধন্যবাদ।
এসএম/কেএসআর/এসএইচএস/এমএস