ডা. বাবর আলী চট্টগ্রামের সাহসী তরুণ। পেশায় চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তিনি জয় করেছেন হিমালয়ের ভয়ংকর চূড়া ‘আমা দাবালাম’।
Advertisement
জানা যায়, প্রথম বাংলাদেশি পর্বতারোহী হিসেবে বাবর জয় করলেন হিমালয়ের প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ফুটের ভয়ংকর পর্বতের চূড়া। পাথর ও বরফে আবৃত পর্বতটি আরোহণে বিশেষ দক্ষতা দরকার বলে যে কোনো অভিযাত্রীর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।
গত ২৫ অক্টোবর নেপালের সময় সকাল ৯টায় আমা-দাবলাম পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে তিনি লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান। ৯ অক্টোবর অভিযানের জন্য নেপালের উদ্দেশে উড়াল দেন বাবর।
১১ অক্টোবর প্রয়োজনীয় অনুমতি ও প্রস্তুতি থাকার পরও পর্বতারোহণে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আবহাওয়া। কাঠমুন্ডু থেকে লুকলার বিমান চলাচল বন্ধ থাকে। তিনি বিমানপথে না গিয়ে সড়কপথে হেঁটেই ১৯ অক্টোবর আমা দাবালামের বেজ ক্যাম্পে পৌঁছান।
Advertisement
২৩ অক্টোবর ভোরে বেজ ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে বাবর উঠে যান ক্যাম্প-১ এ। পরদিন ওঠেন ক্যাম্প-২ এ। ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় চূড়ার লক্ষ্যে চেষ্টা। ভোরে তিনি পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে রচনা করেন নতুন ইতিহাস। ওইদিন বিকেলেই বেজ ক্যাম্পে ফিরে আসেন।
বাবরের এ দুর্গম জয়ের সঙ্গী ছিলেন বাবরের বন্ধু ও গাইড বীরে তামাং। পুরো অভিযানই হয়েছে বাবরের নিজস্ব অর্থায়নে। তবে নিজেদের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ছিল।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নজুমিয়া হাট এলাকার সন্তান বাবরের নেশা পর্বতারোহণ। তিনি এর আগেও দেশ-বিদেশের নানা উচ্চতার বিভিন্ন পর্বত জয় করেন। পর্বতারোহণের কৌশল রপ্ত করতে ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে বাবর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাবর চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন ‘ভার্টিকাল ড্রিমারসে’র প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক।
নেপালের খুম্বু এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চূড়া এটি। তাই একে সম্মানের চোখে দেখেন পর্বতারোহীরা। নেপালি ভাষায় ‘আমা’ অর্থ মা আর ‘দাবালাম’ অর্থ গলার হার। খাড়া পর্বত, আবহাওয়া ও অমসৃণ রাস্তাই এর বৈশিষ্ট্য। যা এভারেস্টের চেয়ে বেশি ভয়ংকর করে তুলেছে এ চূড়াকে।
Advertisement
এসইউ/এএসএম