শিক্ষা

শিক্ষায় শিশুদের মনোযোগী করতে এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাসের যাত্রা শুরু

শিক্ষায় শিশুদের মনোযোগী করতে এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাসের যাত্রা শুরু

শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ ও মাল্টি ট্যালেন্টেড হিসেবে গড়ে তুলতে এই প্রথম এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। এসআইপি অ্যাবাকাস’র যাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল কালারিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।

তারা জানান, এসআইপি অ্যাবাকাসের বনশ্রী শাখা ২৮ অক্টোবর ও মিরপুর এবং বসুন্ধরা ক্যাম্পাস ২৯ অক্টোবর এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

তিনটি শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল কালারিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও ভারতের এসআইপি অ্যাবাকাসের প্রতিনিধিদল ও শিক্ষার্থী এতে অংশ নেবেন।

Advertisement

এসআইপি অ্যাবাকাস ইন্ডিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেশ ভিক্টর বলেন, এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস মূলত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অধিক মনোযোগী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করে। শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য এই প্রোগ্রাম খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা সাধারণত আমাদের দুপাশের ব্রেইন একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারি না, এই প্রোগ্রামে এর ব্যবহার শেখানো হয়, যেন একজন মানুষের কর্মদক্ষতা অনেকগুণ বৃদ্বি পায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত এই প্রোগ্রামে ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুর জন্য ভর্তির উপযুক্ত সময়। অ্যাবাকাস+ব্রেইন জিম+স্পিড রাইটিং- এই তিনটির বিষয়ের সমন্বয়ে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে আমাদের প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। যাতে করে যেকোনো শিক্ষার্থী বর্তমান থেকে পাঁচগুণ বেশি মেধাবী হতে পারে। তা না হলে আমাদের ব্র্যান্ড প্রমিজ অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিফান্ড দিতে বাধ্য। এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস প্রোগ্রামের প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে, এই প্রোগ্রামের বিষয়গুলো শিশুদের এমনভাবে শেখানো হয়, যেন তাদের মস্তিষ্কের ওপর কোনো প্রকার চাপ না পড়ে।

বক্তারা বলেন, বিশ্বে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এরই মধ্যে প্রশিক্ষিত হয়েছে। মালয়েশিয়ান নাগরিক কেলভিন থাম এস আই পি এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতি বছর ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশনের মাধ্যমে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ মিনিটে ১২৩ টি অংকের সমাধান করে তাদের যোগ্যতার প্রখরতা দেখিয়ে থাকে। উন্নত বিশ্বের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে অধিক সচেতন বিধায় প্রতিযোগিতামূলক আগামী বিশ্বে সন্তানের টিকে থাকার জন্য এসআইপি এর যুগোপযোগী স্কিলসগুলো তাদের কাছে অধিক গুরত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এসআইপি ইন্টারন্যাশনাল ইকুয়েশন ম্যানেজার প্রবীণ ইজি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার সাজাদ খান, বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. মাতিন আহমেদ, অশোকা ফেলো অন এডুকেশন (ইউএসএ) ডিরেক্টর বনীর হাকিম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

Advertisement

এএএম/ইএ