দেশজুড়ে

ঘূর্ণিঝড়ের রাতে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম ‘সিত্রাং’, দেখতে গেলেন ডিসি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে জন্ম নেওয়া এক নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং’। মিষ্টি নিয়ে ওই নবজাতককে দেখতে গেলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চতলার খাল এলাকায় ওই শিশুর বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি শিশু সিত্রাংয়ের দায়িত্ব নেন এবং পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা তুলে দেন।

এরআগে রোববার (২৩ অক্টোবর) নোয়াখালীতে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত চলাকালে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকার শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার একটি কন্যাশিশু প্রসব করেন। পরক্ষণেই শিশুটির নাম রাখা হয় ‘জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং’।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাংয়ের মা ফারজানা আক্তার।

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়েকে দেখতে জেলা প্রশাসক স্যার আমার বাড়িতে আসবেন, এটা কল্পনাও করিনি। তিনি আমার মেয়ের খোঁজখবর রাখার কথা জানিয়েছেন। নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্য দিয়েছেন। আমরা সবাই স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।’

সিত্রাংয়ের দাদি নুর জাহান বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মতো হতদরিদ্রের বাড়িতে ডিসি সাহেব এসেছেন। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের স্থায়ী বসবাসের কোনো ঘর নাই। আমরা উনাকে বসতেও দিতে পারি নাই। আমাদের জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি।’

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘ফারজানা আক্তার একজন সংগ্রামী মা। কঠিন দুর্যোগের সময়ে তিনি মনে সাহস রেখে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তাদের পরিবারের বিষয়টি সুনজরে রাখবো।’

এ বিষয়ে ডিসি দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ভয়ানক রাতে জন্ম নেওয়া শিশু সিত্রাংকে দেখতে এলাম। তার জন্য নতুন জামা ও মিষ্টি উপহার নিয়ে এনেছি। তাদের থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহারের ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।’

Advertisement

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন, ইউএনও সেলিম হোসেন, হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম