চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা তিনদিনের মতো এক হাজার জনের ওপরে সংক্রমণ রেকর্ড করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল চীনের উহানসহ উত্তর-পশ্চিম চীনের শহরগুলোতে কোভিডসংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
২০১৯ সালে উহান থেকেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। বর্তমানে শহরটিতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২০-২৫ জন করোনারোগী পাওয়া যাচ্ছে। এরপরও স্থানীয় প্রশাসন এ শহরের আট লাখের বেশি মানুষকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এমনকি, শহরটিতে শুকরের মাংস বিক্রি করাও সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে শুকরের মাংস সম্পর্কযুক্ত- এমন তথ্য উঠে আসার পরেই এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনের চতুর্থ বৃহৎ শহর ও গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজু। সম্প্রতি শহরটির বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মুখে নতুন করে শহরটির বেশকয়েকটি এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কিংহায় প্রদেশের রাজধানী শিনিংয়ের বেশকিছু সবজি ও ফলের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দোকান মালিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় শহরটিতে খাবারের স্বল্পতা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দেশটির বড় বড় শহর যেমন- ঝেংঝৌ, দাতং ও জিয়ানে নতুন করে কঠোর বিধিনেষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার একজন দর্শনার্থীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বেইজিংয়ের ইউনিভারসাল থিম পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। একের পর এক লকডাউন ও শাট ডাউনের ফলে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সেই সঙ্গে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি।
বৈশ্বিক সংক্রমণ হারের দিক দিয়ে চীনের সংক্রমণ হার তুলনামূলক কম। তবে চলতি বছরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করে দেশটির সরকার। আর এর প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে।
এসএএইচ