প্রাথমিকের শিক্ষক প্রশিক্ষণে মুখস্থবিদ্যা থাকছে না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি কার্যকর করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এ কথা জানান।
Advertisement
এরইমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৮ মাসের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি অ্যাডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সটি ছয় মাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটি কোর্স সময় অনুযায়ী পাল্টে যায়। পাঠদান পদ্ধতিতে, বিষয়বস্তুতে, পাঠ্যবইয়ে ও কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়। কোনো কিছুই স্থায়ী না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনা হয়।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতি।
Advertisement
ডিপিএড কোর্স ১৮ মাস রাখার দাবি জানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা তুলে দেওয়া হলে ক্লাসে সেটি পড়ানো হবে না। এতে করে শিক্ষিত কর্মকর্তা হয়ে নৈতিকতা এবং ধর্মীয় জ্ঞান থাকবে না।
তাই শিশুদের কল্যাণের কথা ভেবে ডিপিএড কোর্সে এ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায় সমিতির নেতারা।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, এই কোর্সটিকে যৌক্তিকতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষাবিদ, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ অনেক প্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের মতামত নিয়ে ডিপিএড কোর্সের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি কোনো চাকরি বা একাডেমিক কোর্স না। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স হবে ভিন্ন। এর মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদান দেবেন।
Advertisement
ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণে পুরোপুরি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পিটিআই শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সব জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এমএইচএম/জেডএইচ/জিকেএস