অনেক আগে থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর একটি সিঙ্গাপুর। সম্প্রতি সেখানে মোটরসাইকেল চালনার অনুমতিপত্রের (পারমিট) খরচ এত বেড়েছে যে, তার চেয়ে কমে একটি নতুন মোটরসাইকেলই কিনে ফেলা সম্ভব। খবর ব্লুমবার্গের।
Advertisement
স্থানীয় স্থল পরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, চলতি মাসে সিঙ্গাপুরে ১০ বছর মেয়াদী মোটরসাইকেল পারমিটের খরচ বেড়ে রেকর্ড ১২ হাজার ৮০১ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম খরচে সিঙ্গাপুরে একটি নতুন এন্ট্রি-লেভেলের মোটরসাইকেল কিনে ফেলা সম্ভব।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত চার বছরে দেশটিতে মোটরসাইকেল পারমিটের খরচ ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার নগররাষ্ট্রটিতে রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চলাচলের জন্য সব যানবাহনকে ‘সার্টিফিকেটস অব এনটাইটেলমেন্ট’ নামে একটি অনুমতিপত্র নিতে হয়।
Advertisement
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ও গাড়ির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখে সীমাবদ্ধ ছিল।
দেশটিতে বর্তমানে একটি নতুন এন্ট্রি-লেভেল মোটরসাইকেল কেনা ও তার জন্য পারমিট জোগাড় করতে হলে প্রায় ২০ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (প্রায় ১৫ লাখ টাকা) খরচ হবে।
সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক নাথান পেং জানান, সিঙ্গাপুরে এখন পারমিট নবায়ন করতে ১১ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারের (৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা প্রায়) বেশি খরচ হয়। এক দশক আগের তুলনায় এই খরচ প্রায় ছয় গুণ বেশি।
পারমিটের এমন মূল্যবৃদ্ধির ফলে ডেলিভারি রাইডারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশ কিছু মোটরসাইকেল লিজিং কোম্পানি এরই মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
Advertisement
গিগা রাইডার নামে একটি কোম্পানি বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের মোটরসাইকেল ভাড়া ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। ফুড ডেলিভারি কোম্পানি গ্র্যাব জানিয়েছে, পারমিটের খরচ বাড়ায় তাদেরও ভাড়া বাড়তে পারে।
সিঙ্গাপুর কেবল মোটরসাইকেলই টার্গেট করেনি। ছোট্ট দেশটিতে বর্তমানে একেকটি এন্ট্রি-লেভেল গাড়ির পারমিটের জন্য ৮০ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারের বেশি (প্রায় ৬০ লাখ টাকা) প্রয়োজন হয়। ২০১৮ সালের পর থেকে এর খরচ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
(১ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার=৭৪.৩৫ টাকা)কেএএ/