ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত ও জোয়ারের অতি প্লাবনে চট্টগ্রামে রোপা আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুদিনের ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে জেলার বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারাসহ ১৫ উপজেলার রোপা আমন ধান হেলে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শীতকালীন সবজির বহু মাঠ। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।
Advertisement
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৫টি উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আমন ফসল তলিয়ে গেছে। ভারি বর্ষণ ও দমকা হওয়ায় শত শত হেক্টর জমির ফসল জমিতে হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ৩৬৪ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে মাঠে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে ফসলের ক্ষতি সামান্য। প্রত্যেক উপজেলা থেকে তথ্য নিয়ে আমরা একটি ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার ১৫টি উপজেলায় এ বছর ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির রোপা আমন বাতাসে হেলে পড়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ১৫১ হেক্টর শীতকালীন সবজির মাঠের মধ্যে অন্তত ৩৬৪ হেক্টর জমির সবজি পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
Advertisement
আমন ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাঁশখালী উপজেলায়। মোট ক্ষতির ১ হাজার ৪৮২ হেক্টর আমনের মধ্যে ৮০০ হেক্টর ক্ষতি হয়েছে বাঁশখালীতে। এরপরই রয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা। আনোয়ারায় শঙ্খ নদীর উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বোয়ালখালীতে ২৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরূপণে মাঠে কাজ করছেন কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা। দু-একদিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement