রাজনীতি

‘বিএনপি ১০ তারিখ ঢাকায় এসে আমাদের নাকি তাড়িয়ে দেবে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের একটা খায়েশ রয়েছে, তারা নাকি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে আমাদের (আওয়ামী লীগ) তাড়িয়ে দেবে। সব আমরা ঢাকা ছেড়ে দেবো, আর তারা এসে বসে থাকবে, দখল করবে।

Advertisement

তিনি বলেন, আবার কি সেই নৈরাজ্য, হাজার হাজার মানুষের হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, জঙ্গির উত্থান- এসব ঘটনা বিএনপি ঘটাবে?

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটে ‘অপরাজেয় বাংলা’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নাকি মন্ত্রিত্ব গঠন করেছে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কে অর্থমন্ত্রী হবেন, কাকে না কি প্রেসিডেন্ট বানিয়ে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন, তারও নাকি একটা নীলনকশা হয়েছে, এসব শোনা কথা। আমরা এগুলো বিভিন্ন জনমুখে শুনছি। তারা এসব প্রচার করে যাচ্ছেন।

Advertisement

‘প্রধানমন্ত্রীর ডাকে বাংলাদেশ আজ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তখন আবারও একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য নীলনকশা করার জন্য তারা (বিএনপি) প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২১ হাজার লোককে হত্যা করা হয়। তারা বলে আমরা নাকি ৭৬ জনকে গুম করেছি। ২০০৫ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ৪৬০। এটি আমাদের কথা নয়, আমেরিকান একটি ওয়েবসাইটে আপনারা পাবেন।

তিনি বলেন, তারা যে ৭৬ জনকে গুমের কথা বলছেন- আমরা তা দেখিয়ে দিয়েছি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রধানরা দেশে এসেছিলেন। ৭৬ জনের মধ্যে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী মিটিং-মিছিল করছেন। দুজন কারাগারে রয়েছেন। ৩০-৩৫ জনকে আমরা খুঁজছি। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। বিএনপির এ ধরনের অভিযোগ হাস্যকর। কে কোথায় আছেন আমরা সবকিছু প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে দু-একজকে আমরা ফিরেও পেয়েছি।

‘বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন নেই। সবাই মনে করেন যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ কোনোদিন পথ হারাবে না’

Advertisement

দ্রব্যমূল্যের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন হলো সারাবিশ্বের শস্যভাণ্ডার। গম, ভুট্টা ও চাল অধিকাংশ জোগান দেয় ইউক্রেন ও রাশিয়া। সেখানে চলছে যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কবে শেষ হবে জানি না। আমেরিকা-ইউরোপের চাইতে অনেক কম মূল্যে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিদ্যুতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলএমজি আমরা আনতে পারছি না। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিগগির আনার ব্যবস্থা করছি। এগুলো সবই যুদ্ধের কারণে হচ্ছে। ইউরোপের যে করুণ অবস্থা হচ্ছে, তা এখন আপনারা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

টিটি/আরএডি/এএসএম