বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দুরারোগ্য স্নায়ুরোগ স্পাইনাল মাস্কুলার এট্রফি (এসএমএ) রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলো জিন থেরাপি। যা দেওয়া হয়েছে ২২ মাসের শিশু রাইয়ানকে।
Advertisement
রাইয়ান মানিকগঞ্জের বাসিন্দা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে (নিনস) চিকিৎসা চলছে তার। শিশুটির চিকিৎসায় সরাসরি যুক্ত রয়েছেন ডা. চৌধুরী মোহাম্মদ ফুয়াদ গালিব।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সকাল ১০টায় রাইয়ানকে থেরাপির ইনজেকশন দেওয়া হয়। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। প্রায় ঘণ্টা সময় ধরে ক্যানোলার মাধ্যমে দুরারোগ্য স্নায়ুরোগের এই ওষুধ শরীরে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানান, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা যায়। বিশ্বে দুই হাজার ৩০০ বাচ্চাকে দেওয়া হয়েছে এই চিকিৎসা। যার মধ্যে একজন মারা গেছে। বাংলাদেশে রাইয়ানই প্রথম কোনো রোগী যাকে এই চিকিৎসা দেওয়া হলো।
Advertisement
রাইয়ানকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তার প্রতি ডোজের দাম প্রায় ২২ কোটি টাকা। যা বিনামূল্যে দিয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস।
নিনস হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৩০ জন এসএমএ সাসপেক্টেড রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এর মাঝে ২৫ জনকে ডায়াগনোসিস করা হয়েছে। সবশেষ ১০ শিশুকে জিন থেরাপির জন্য নির্ধারণ করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জন্মগত এই দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলো জিন থেরাপি।
এই জিন থেরাপি ইউএসএফডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) অনুমোদিত বলে জানান চিকিৎসকরা।
Advertisement
এএএম/জেডএইচ/এমএস/এএসএম