ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব আর বাংলাদেশে নেই। এটির শক্তি শেষ হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছানাউল হক মন্ডল।
Advertisement
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার। বর্তমানে উত্তর বঙ্গপোসাগর এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। সে কারণে সমুদ্রবন্দর গুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে আমরা বিপদমুক্ত।
ছানাউল হক আরও বলেন, এটি গতকাল রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। পরে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে উঠে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপ হিসেবে প্রথম অবস্থায় ঢাকা, কুমিল্লা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করে। তার পরে এটি আরও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় সর্বোচ্চ ৬ ফুট পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে সর্বোচ্চ ৩২৪ মিলি মিটার।
Advertisement
তিনি বলেন, আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে বড় কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশে। আমাদের শীতের মৌসুম ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি। সামায়িক বৃষ্টির পর এখন একটু ঠান্ডা অনুভুত হবে। সূর্যের আলো পেলে তাপমাত্রা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাব বিকেলের পর বাংলাদেশে থাকবে না। সন্ধ্যা ৬টা পর থেকে বাংলাদেশে অঞ্চলে নতুন করে স্বাভাবিক আবহাওয়া পাবো।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গপোসাগরে নতুন করে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।তারপরও ব্যতিক্রম কিছু আসলে আমরা তা মনিটর করবো এবং সবাইকে অবহিত করবে।
তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা না থাকলেও ডিসেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড় হবে। দেশের উপকূল অঞ্চল কখনই ঘূর্ণিঝড় মুক্ত নয়। এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দুই একদিন শীতের অনুভূতি হবে।। তবে জানুয়ারিতে পুরো শীত পড়বে। আপাতত শীতের লক্ষণ নেই।
Advertisement
এসএম/এমআইএইচএস/এমএস