জাতীয়

ভালোবাসার রঙে সেজেছে শাহবাগ

ফুল আর ভালোবাসা যেন একই সুতয় গাঁথা। প্রেম-ভালোবাসা আছে, আর সেখানে ফুল নেই, ফুলের মালা নেই, তা কি হয়!  গোলাপের পাপড়িতে নয়ন রেখে প্রেমিকা তার প্রেমিককে অন্তঃনয়নে পুরে নেয়। গোলাপের কমল পরশে ভালোবাসার মানুষটিকে হৃদমাজারে আগলে রাখতে চায়। ফুল ভালোবাসার প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক। ভালোবাসার মানুষেরা সবাই তো চায় তাদের প্রেমবন্ধন ফুলের মতই পবিত্র হয়ে উঠুক।ভালোবাসা দিবসের বাকি আর মাত্র একদিন। বিদেশি সংস্কৃতির এই দিবসটি দিনে দিনে বাঙালিরাও আপন করে নিচ্ছে।দেশব্যাপী বিশেষ আয়োজনে চলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। বাহারী পোশাক আর ফুলের মাখামাখিতে দিবসটিকে প্রাণবন্ত করতে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। ফুলে ফুলেই জানান দিতে চায়, তারা ভালোবাসার অনুরাগী। ফাগুনও এসেছে। ফাগুন তো ফুলে ফুলেই আগুন ঝরায়। ফুল-ফাগুনের আগুন ধরেছে রাজধানীর শাহবাগে। এ ফুলবাজার নয়, যেন ফুল বাগান। ১ ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ ফুলের বাজার শাহবাগ এখন ফুলের মেলায় রূপ নিয়েছে। গোলাপ, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, রক্তজবার প্রাধান্য থাকলেও শত রকমের ফুলে ভরে উঠেছে সেখানকার পুষ্প ভাণ্ডারগুলো। আছে বিভিন্ন পাতাবাহারও। ধুমও পড়েছে বেচা-কেনার। ফুল ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত এক সপ্তাহ থেকে চীন, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থান হতে ফুল আসছে শাহবাগে।   পাইকারী এবং খুচরাভাবে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ফুল।রাসেল পুষ্প ভাণ্ডারের কর্ণধর রাসেল জানান, ১ ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর ১ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই আমাদের ফুল ব্যবসা। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত কয়েক বছর ব্যবসায় মন্দা ছিল। তবে এবারে ভালো যাবে এমনটাই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন বিক্রি বাড়ছে। ফুল কিনতে এসেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শিমু। সঙ্গে আরও দুই বান্ধবী। শিমু বললেন, ‘ফাগুণ বরণে ফুল না হলে চলে? আজ-ই কিনতে এসেছি। কাল দাম বাড়বে, তা জানি। ফুলকে দিয়েই সাজবো, সাজাবো মনকেও। এএসএস/এএইচ/এবিএস

Advertisement