ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফরিদপুরে গাছ উপড়ে পড়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের সচল হয়েছে। ওই মহাসড়কের ৮০ কিলোমিটার অংশে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি স্থানে গাছ পড়ে যানচলাচল বিঘ্নিত হয়।
Advertisement
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বৃষ্টি এবং ঝড়ের গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে রাত সাড়ে ৮টার পর ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ৮০ কিলোমিটার পথে গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ পথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহানুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পর ফের সড়ক দুটি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে এসআই সোহানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তালমা পুকুরিয়া এবং ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মাঝরা, মাঝিগাতী, রিসাতলা, জয় বাংলা, কাইলার মোড়, মনসুরাবাদসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫টি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। রাতেই গাছগুলোর সরানো হয়। এসময় থেমে থেমে কিছু বাস চললেও ভোর থেকে পুরোপুরি বাস চলাচল শুরু হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম ফের বাস চলাচল শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দুটি মহাসড়কে রাত সাড়ে ৮টা থেকে গাছ উপড়ে পড়ার জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত ২৪ থেকে ২৫টি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঝড় এবং বৃষ্টি কমার পর থেকেই হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা নিয়ে মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন স্থান থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু হয়।
ওসি আরও বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে এই সড়ক দুটির যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
এন কে বি নয়ন/এমআরআর/জেআইএম
Advertisement