বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় সারাদিন অঝোরে বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া বইলেও সন্ধ্যার পর বদলে গেছে চিত্র। নেই বৃষ্টি, বইছে না বাতাসও।
Advertisement
আবহাওয়া অফিস বলছে, সিত্রাং একটু সরে উত্তরের দিকে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা এবছরের রেকর্ড বৃষ্টিপাত।
খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার সবচেয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, সারাদিনে বৃষ্টি এবং দমকা বাতাস হলেও সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও বাতাস কমে যায়। এখন পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আংটিহারা, জোড়সিং, চরামুখা, ছোট চরামুখা, গোলখালী এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে জোয়ারের চাপে এই এলাকার অনেক জায়গা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
Advertisement
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, এরই মধ্যে আমরা উপকূলের কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষ এখনো তাদের বাড়িঘরে অবস্থান করছেন, তাদের গৃহপালিত প্রাণিগুলো অরক্ষিত এবং অনিরাপদ অবস্থায় থাকবে এই ভেবে। তবে তারা বলেছেন, পরিস্থিতি যদি খারাপ হয় তাহলে শেল্টারে আশ্রয় নেবেন।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং একটু উত্তর দিকে সরে যাওয়ায় খুলনায় বাতাস ও বৃষ্টি কমে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা বন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় আবার ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এবছরের রেকর্ড বৃষ্টিপাত।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এমআরআর/জেআইএম