দেশজুড়ে

বাগেরহাটে বেড়েছে বাতাসের গতি, উপড়ে পড়ছে গাছপালা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাস্তার ওপর উপড়ে পড়া কয়েকটি গাছ এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

Advertisement

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিরাজ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফকিরহাট, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও শহরের পুরাতন জেলাখানা রোডসহ কয়েকটি স্থানের গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে গাছ অপসারণ করা হয়েছে। আরও বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে রাস্তায় পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে বাতাসের তীব্রতা বাড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলার মানুষ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৯৯০ মানুষ এবং চার হাজার ৭৫০টি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

বাগেরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে তদারকি করছেন। এরআগে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসআর/জেআইএম

Advertisement