দেশজুড়ে

মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ১০ হাজার ৫০০ মানুষ, শুকনো খাবার সংকট

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মোংলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বেড়েছে বাতাসের গতি। সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বন্ধ আছে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ। এরই মধ্যে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে ৬৫০টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে।

Advertisement

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ জাগো নিউজকে বলেন, বিদেশি সব জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস বন্ধ রেখে নিরাপদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদে রাখা হয়েছে। চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে থাকা পণ্যবাহী কার্গো-কোস্টারগুলো নিরাপদে সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে উপকূলের ১০ হাজার ৪০০ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন। তবে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা।

তিনি বলেন, আশ্রয় নেওয়া লোকদের জন্য নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। রাতে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

Advertisement

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়টি বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। মোংলায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। আর ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়টি আজ মধ্যরাত কিংবা ভোর রাত নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/জেআইএম