কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পেনি মর্ডান্ট। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বদলে ঋষি সুনাকের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা সুনাক। খবর বিবিসির।
Advertisement
সোমবার (২৪ অক্টোবর) এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মর্ডান্ট। তিনি বলেন, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সীমিত সময়সীমা সত্ত্বেও এটি পরিষ্কার যে, সহকর্মীরা মনে করেন, আমাদের আজ নিশ্চয়তা দরকার। তারা দেশের ভালোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মর্ডান্ট বলেন, ঋষির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা যে প্রচারণা চালিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত এবং যারা আমার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
Advertisement
এর আগে, রোববার রাতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ঘোষণা দেন হেবিওয়েট প্রার্থী যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ঘোষণার আগে ঋষির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন তিনি।
কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নিয়ম অনুসারে, দলীয় প্রধান পদে প্রার্থিতার জন্য টিকে থাকতে হলে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২টার (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) মধ্যে ৩৫৫ এমপির মধ্যে অন্তত ১০০ জনের সমর্থন আদায় করতে হতো প্রত্যেক প্রার্থীকে। বরিস জনসন দাবি করেছেন, তিনি প্রয়োজনীয় ১০০ এমপির সমর্থন পেলেও এটি ‘সঠিক সময় নয়’ বলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তবে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট ১০০ জন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। কিংবা পারবেন না বুঝতে পেরে সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন এবং ঋষির প্রতি সমর্থন জানান।
এদিন নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে একক প্রার্থী হওয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধান পদের জন্য ঋষি সুনাকের নাম ঘোষণা করেন এর দায়িত্বে থাকা ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি।
Advertisement
বিবিসির খবর অনুসারে, ঋষি সুনাক আগামী মঙ্গলবারই যুক্তরাজ্যের প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কেএএ/