ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতেও ভোর থেকে ঝড়ো বাতাসসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিও বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরবন্দি সময় পার করছেন তারা। টং দোকানি থেকে শুরু করে রিকশাচালক, ফুটপাত ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করছেন।
Advertisement
এদিকে বৃষ্টি না কমায় রাজধানীর ব্যাংকপাড়ায় টং দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। যারা খুলেছেন সেখানেও বেচা-বিক্রি নেই। ছোট ছোট খাবার হোটেলগুলোর অবস্থাও একই। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ। এসব দোকান ও হোটেল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার নিম্ন, মধ্য ও স্বল্পআয়ের মানুষেরা। মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মতিঝিল এলাকার চা দোকানি শাহজাহান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার চা-বিস্কুট আর সিগারেট বিক্রি করি। আজ বৃষ্টির কারণে ক্রেতা আসতে পারছেন না। এভাবে টানা বৃষ্টি হতে থাকলে সন্তানদের নিয়ে চলতে কষ্টকর হয়ে পড়বে।
একই কথা বলেন ফফকিরাপুলের চা দোকানি আশরাফ। তিনি বলেন, আমার দোকানে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্র্যন্ত বেচা-বিক্রি হয়। আজ বৃষ্টিতে ভিজে দোকান খুলেছি, কিন্তু ক্রেতা আসছে না। যারা আসছে তারা শুধু সিগারেট নিচ্ছেন, কিন্তু কিছুটা বেশি লাভ হয় চা বিক্রিতে, ক্রেতারা চা না খাওয়ায় সেটা হচ্ছে না।
Advertisement
ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ হোটেলে দুপুরে খাবার বিক্রি করেন মতিঝিল আরামবাগের এমদাদ। তিনি বলেন, আজ বৃষ্টির কারণে ভাতও রান্না করতে পারিনি। লোন করে হোটেল চালাই। প্রতিদিন ৫০০ টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। আজ দোকান করতে পারিনি, কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি।
শুধু দোকানিরা না, ভোগান্তিগে পড়েছেন সাধারণ চাকরিজীবী থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া অন্য পেশার মানুষেরাও।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
মতিঝিল এলাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ফুটপাতের হোটেলে কম দামে দুপুর ও রাতের বেলায় ভাত খাওয়া যায়। আজ চায়ের দোকান নেই, অনেক ভাতের দোকানও বন্ধ।
Advertisement
রিকশাচালক চান মিয়া। রিকশা চালিয়ে যে আয় হয় তা দিয়েই সংসার চালান। তিনিও দুপুরবেলা খাবার খান ফুটপাতের হোটেলে। আজ খাবার খেতে এসে দোকান খোলা পাননি।
চান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আজ ভাড়া কম পেয়েছি। দুপুর পেরিয়েছে। ভাবলাম ভাত খাবো, কিন্তু ছোট হোটেলগুলো বন্ধ। চা-বিস্কুট খেয়েই ভাতের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
ইএআর/ইএ/এএসএম