দেশজুড়ে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি, বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুদিন ধরে বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। জেলা সদরসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোর রাস্তাঘাট, পুকুর, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

Advertisement

এছাড়া বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌর শহরের পুরাতন বাজার, রাহাতের মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মুহিতুর রহমান সুমন জাগো নিউজকে বলেন, দুদিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মাছের ঘের ও পুকুর এরই মধ্যে ডুবে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অনেক ক্ষতি হবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার দুপুরে বাগেরহাটে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রাতের জোয়ারে আরও বাড়বে। এছাড়া টানা দুদিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Advertisement

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, দুদিনের টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, পুকুর তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে রামপাল ও মোংলা উপজেলার মাছের ঘেরগুলোর ডুবু ডুবু অবস্থা। আর কিছু সময় বৃষ্টি হলে এসব ঘের তলিয়ে যাবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, দুদিনের টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমাদের ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে। ২৯৮ টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এসজে/জেআইএম

Advertisement