যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন ঋষি সুনাক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ নেতা এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৫০ শতাংশ এমপির সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন। ফলে তিনি এখন বলতে পারেন, পার্লামেন্টে তার প্রতি দলের সমর্থন রয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই ঋষির প্রতি এমপিদের সমর্থন ক্রমেই বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে ১৭০ জনের বেশি নেতা প্রকাশ্যে সাবেক এ অর্থমন্ত্রীকে সমর্থন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রিত্বের আরেক দাবিদার পেনি মর্ডান্টের পক্ষে কথা বলেছেন ৩০ জনেরও কম এমপি। যদিও সাবেক এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। মর্ডান্ট সরে দাঁড়াবেন এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তার অন্যতম সমর্থক আন্দ্রিয়া লিডসম বলেছেন, এর কোনো সুযোগই নেই।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান বা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২টার (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) মধ্যে ৩৫৫ এমপির মধ্যে অন্তত ১০০ জনের সমর্থন আদায় করতে হবে মর্ডান্টকে। তা নাহলে একক প্রতিযোগী হিসেবে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে ঋষি সুনাকের।
Advertisement
এর আগে, রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বলা হচ্ছে, তিনি প্রয়োজনীয় ১০০ এমপির সমর্থন জোগাড় করলেও এটি ‘সঠিক সময় নয়’ বলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যদিও সেই সময় পর্যন্ত মাত্র ৫৯ জন এমপি প্রকাশ্যে বরিসকে সমর্থন করেছিলেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বর্তমানে কনজারভেটিভদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে জনমত জরিপ বলছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তাতে রীতিমতো ভরাডুবি হতো ক্ষমতাসীনদের। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টি আশা করছে, নতুন নেতার হাত ধরেই হয়তো তাদের ভাগ্য ফিরবে।
কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধান হবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে গত ছয় বছরের মধ্যে পাঁচজন দেশটির সরকারপ্রধানের চেয়ারে বসতে চলেছেন।
সূত্র: বিবিসিকেএএ/
Advertisement