ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুমিল্লার নদীগুলোতে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া জেলায় রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনো অব্যাহত আছে।
Advertisement
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবার কোথাও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের আনাগোনা কম। পেটের দায়ে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজের সন্ধানে বাইরে বের হয়েছেন। কিছু মানুষকে ছাতা মাথায় দিয়ে বের হতে দেখা গেছে। সড়কে গাড়ি চলাচলও ছিল খুব কম।
নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আনোয়ারের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে শহরে মানুষের উপস্থিতি কম। ফলে এখনো পর্যন্ত রিকশার জমাও কামাই করতে পরিনি। আল্লাহর ওপর ভরসা করে রিকশা লইয়া বের হইছি। আল্লাহ মিলাইলে যাত্রী পাইমু।’
চাত্ত্বারখান কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় দুপুর ২টা পর্যন্ত যাত্রাও করতে পারিনি। এক কথায় বলা যায় ক্রেতা শূন্য।’
Advertisement
ভিক্টোরিয়া কলেজ রোডের চা দোকানি মো. হাসান বলেন, ‘সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। অন্যদিনের তুলনায় আজ লোকজন তেমন বের হয় নাই। বৃষ্টি কমলে হয়তো লোকজন বের হবে, তখন কিছু বেচাকেনা হতে পারে। না হয় বাসায় গিয়ে কাঁথা মুড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকবো।’
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৮.২ মিলিমিটার কুমিল্লায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে জেলার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া কুমিল্লার নদী অঞ্চলগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসজে/জেআইএম
Advertisement