ধর্ম

ঘূর্ণিঝড়ে নবিজি (সা.) যেসব দোয়া বেশি পড়তেন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বৃদ্ধি পেয়েছে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দুই বছর কাটতে না কাটতেই ফের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং  ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। তাই তো ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর ভয়ে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। আসুন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হই, সৃষ্টিকর্তার দরবারে সকাতর প্রার্থনা করি আর আশ্রয় কেন্দ্রে বা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করি।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)

Advertisement

ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কোরআনের বিশেষ দোয়া-

‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়া পড়তেন-

Advertisement

‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)

জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।

ঝড় বা বাতাস থেকে বাঁচতে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।

আসুন, আমরা আমাদের পাপ সমূহের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাই আর বেশি বেশি দোয়ায় রত হই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড় সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম