দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় বেড়েছে বাতাসের তীব্রতা, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে মালামাল

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। তবে কিচ্ছুক্ষণ আগে ভাটা হওয়ায় জোয়ারে চাপ কিছুটা কমেছে। জোয়ারে চাপ কমলেও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করছে বাতাসের গতিবেগ।

Advertisement

পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে রোববার মধ্যে রাত থেকে ভারি বৃষ্টি সঙ্গে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বাতাসের গতিবেগ ধিরে ধিরে বাড়তে শুরু করেছে। তাই সৈকত রক্ষা বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা সব দোকান পাট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া, চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের প্রায় আট-দশটি গ্রাম। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ এলাকারর মানুষদের নিরাপদে চলে যেতে বলা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংকর চন্দ্র বৌদ্ধ জানান, সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে সেমিনার করছি। তাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়। উপজেলায় ১৭৫ সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে ও তিনশোজনকে ইতিমধ্যে শুকনা খাবারের ব্যাবস্থা করে স্বেচ্ছাসেবী টিম মাঠে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৭ (সাত) নম্বর হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে দেশব্যাপী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকল ট্রলার ও নৌকা নিরাপদে রয়েছে। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদেরকেও নিরাপদে থেকে ভ্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, উপকূলীয় চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। জলোচ্ছাসের উচ্চতা পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/এমএস